সংক্ষিপ্ত

একদিনের উপার্জন থেকে ২২০ টাকা আরজি করের নির্যাতিতার সমর্থনে হাসপাতালে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। অসিত রায়চৌধুরী বলেন, "আন্দোলন চালানোর জন্য টাকা লাগে। আমার যতটা সমর্থ তাই দিয়েছি! পারলে, আবার দেব।

 

কলেজ স্ট্রিটের বাসিন্দা অসিত রায়চৌধুরী, পেশায় কাগজ বিক্রেতা, যিঁনি তার একদিনের সামান্য আয় তুলে দিলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হাতে। যে কোনও সামাজিক সংকটে সে আয় ব্যয় করতে দ্বিধাবোধ করেন না। কলেজ স্ট্রিটের বাসিন্দা অসিত রায়চৌধুরী, পেশায় একজন কাগজ বিক্রেতা, বলেছিলেন যে তিনি তার একদিনের উপার্জন থেকে ২২০ টাকা আরজি করের নির্যাতিতার সমর্থনে হাসপাতালে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। অসিত রায়চৌধুরী বলেন, "আন্দোলন চালানোর জন্য টাকা লাগে। আমার যতটা সমর্থ তাই দিয়েছি! পারলে, আবার দেব।

অসিত রায়চৌধুরী গত ৪২ বছর ধরে প্রতিদিন শিয়ালদহ থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত খবরের কাগজ বিক্রি করে। তার নিজস্ব কোনও দোকান নেই। অসিতের কথায়, "আমি সরাসরি ডাক্তারদের কাছে গিয়ে বললাম, আমি আমার একদিনের উপার্জনের ২২০ টাকা আপনাদের আন্দোলনে দিতে চাই। তারা বললেন, এত পরিশ্রম করে আপনি এটা অর্জন করেছেন। কেন এই টাকা দেবেন? জবাবে আমি বলি আপনারা একটা মেয়ের বিচারের জন্যও আন্দোলন করছেন, আমি জানি আন্দোলন করতে টাকা লাগে,তাই আমি আমার এই সামান্য টাকা এখনে দিতে চাই।

অসিতের মতে, ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, "আমাদের মতো গরিব মানুষ বেশি সরকারি হাসপাতালে যায়। ওই ডাক্তার কত গরিব মানুষকে সাহায্য করেছেন কোভিডের সময়ে? ওই ডাক্তার দিদি বেঁচে থাকলে তিনিও আমাদের সেবা দিতেন। তাঁর এই পরিণতি মেনে নিতে পারছি না। আমি ডাক্তারদের সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম। আমার উপার্জন দিয়ে তাই করেছি।