সুকান্ত মজুমদার বলেন এটাই এই রাজ্যের শিক্ষার হাল ও অবস্থা। দুর্নীতি যেখানে সাফল্যের চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। আর পড়াশোনা পিছিয়ে গিয়েছে।

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় রয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এমনকী নাম রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী। আর এদের প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর তাক লাগানো। এই গোটা ঘটনা নিয়েই সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির একটি টুইটকে হাতিয়ার করে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।

সুকান্ত মজুমদার বলেন এটাই এই রাজ্যের শিক্ষার হাল ও অবস্থা। দুর্নীতি যেখানে সাফল্যের চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। আর পড়াশোনা পিছিয়ে গিয়েছে। সুকান্ত বলেন টেট পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে আর কত খেলবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তিনি প্রশ্ন তোলেন গোটা ঘটনা রীতিমত দুর্ভাগ্যজনক।

Scroll to load tweet…

উল্লেখ্য, প্রকাশিত তালিকা বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সকলেই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থী। এঁরা তবে রাজনীতির ময়দান ছেড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে চলেছেন? আরও জানা গিয়েছে টেট পরীক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছেন ৯২, অভিষেক পেয়েছেন ৯৮, দিলীপ পেয়েছেন এঁদের মধ্যে সবচেয়ে কম ৮৪, সুকান্তের প্রাপ্য নম্বর ৯০। আর সুজন চক্রবর্তী পেয়েছেন ৯৯। তবে সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর প্রাপ্য নম্বর ১০০।

তালিকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সবারই। এই নিয়েই বেশ কয়েকজন আইনজীবী দ্বারস্থ হয়েছেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের। এতদিন বিতর্ক চলছিল ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশ না করা নিয়ে। হাইকোর্টের নির্দেশে তালিকা প্রকাশ তো হল। কিন্তু, সেই তালিকায় বহু পরীক্ষার্থীর নাম না থাকায় দানা বাধে আরেক বিতর্ক। আর ২ দিন পরই লক্ষাধিক নামের তালিকার মধ্যে রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের নামে পরীক্ষার্থীর খোঁজ মেলায় বিতর্কে যেন ঘি পড়েছে।