সংক্ষিপ্ত
আরজি কর কাণ্ডে দুই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআই দুই অভিযুক্তকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানায়।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে বুধবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করা হয়। আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়। তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং এফআইআর দেরিতে রুজু করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
দুই অভিযুক্তের নারকো ও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হবে কি না, তা নিয়ে বুধবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির কলকাতা অফিসের বিশেষজ্ঞ অন্য রাজ্যে একটি মামলা সংক্রান্ত কাজে গিয়েছেন। ফলে বুধবার তিনি আদালতে আসতে পারেননি। আদালতে সন্দীপের আইনজীবী দাবি করেন, দেরিতে এফআইআর রুজুর অভিযোগ তাঁর মক্কেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাঁর যুক্তি হল, ৯ অগস্ট ঘটনার কথা জানতে পেরে সকাল ৯টা ৫৮মিনিটে টালা থানার তৎকালীন ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানান সন্দীপ। এরপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাসপাতালের সুপারের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সন্দীপের ক্ষেত্রে দেরিতে এফআইআর রুজুর অভিযোগ কীভাবে প্রযোজ্য হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী।
এদিন আরজি কর কাণ্ডে দুই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআই দুই অভিযুক্তকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানায়। বিচারক তাদের জামিনের আর্জি খারিজ করে একই সময়ের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
মূল অভিযোগ যৌন নিগ্রহের হওয়ায়, সিবিআই আইনজীবী রুদ্ধদ্বার শুনানির দাবি করেন। তিনি বলেন, 'রুদ্ধদ্বার শুনানির আবেদন করা হয়েছিল, যা এখনও মঞ্জুর হয়নি।' এই দাবিতে টালা থানার প্রাক্তন ওসির আইনজীবী আপত্তি জানান এবং সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সরাসরি সম্প্রচারের প্রসঙ্গ টেনে তার সপক্ষে যুক্তি দেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।