সংক্ষিপ্ত

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হামলাকারীদের সঙ্গে সিপিএম ও বিজেপির যোগসূত্র থাকার ইঙ্গিত করে তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বুধবার রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হামলার জন্য সিপিএম ও বিজেপিকেই দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি রাজভবনে গিয়েছিলেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। জানিয়েছেন, 'যারা আন্দোলন করছে তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। রাম-বাম একত্রিত হয়েই হামলা করেছেন। হামলাকারীরা বহিরাগত।' মমতা আরও বলেছেন, যেসব হামলাকারীদের হাতে জাতীয় পাতাকা ছিল তারা বিজেপি, আর যাদের হাতে সাদা পাতাকা ছিল তারা ডিওয়াইএফআই এর সমর্থক। মমতা বলেন, পুলিশের পোশাক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'ছাত্রছাত্রীরা ভাল। আমি ওদের সমর্থন করি। ওদের ওপর আমার কোনও রাগ নেই। কিন্তু আমার রাগ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ওপর। রাজনৈতিক দলগুলি এরমধ্যে ঢুকে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে।' মমতা আরও বলেন, মৃত্যু খুবই কষ্টের । নিহতের পরিবারের প্রতি তাঁর ও তাঁর দলের পুরো সমবেদনা রয়েছে। তিনি বলেন, এটা একটা সামাজিক ব্যাধি। তিনি ও তাঁর দলও দোষীদের শাস্তি চায়। পাশাপাশি দোষীর ফাঁসিরও দাবি করেন। তবে নিরাপরাধীর শাস্তির দাবিতে সরব হন। মমতা বলেন, এটা যেন ধনঞ্জয়ের মত না হয়। মমতা এদিন জানান তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সবকিছুই নিহতের বাবা-মাকে দেখিয়ে আনা হয়েছে। সব রিপোর্ট পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছিল।

মমতা জানিয়েছেন, নিহতের বাবা মায়ের সঙ্গেই কথা বলেই তিনি পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত তদন্তের সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই আদালত তদন্তের ভার দিয়েছে সিবিআই-এর ওপর। এদিন মমতা বলেন, স্বাস্থ্য সচিব যারা কাজে যোগ দিচ্ছেন না তাদের কাজে যোগ দিতে আবেদন জানিয়েছে। তিনিও একাধিকবার কাজে যোগ দিতে আবেদন জানিয়েছেন। মমতা বলেন বুধবার রাতে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। ওসিকে একঘণ্টা খুঁজে পাওয়া যায়নি। অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। মমতা বলেন, আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, তদন্ত সিবিআই-এর হাতে। প্রয়োজনে তারা সেখানে যেতে পারেন। কিন্তু সবকিছু ফেলে দ্রুত কাজে যোগ দেওয়া জরুরি।

মমতা বলেন, আরজি কর হাসপাতালের পুরো পরিকাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতের হামলায় অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ডাক্তাররা কাজে যোগ না দেওয়ায় অনেকেই পেশেন্ট বাড়ি নিয়ে যেতে চাইছে। এদিন মমতা সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। প্রয়োজনে পুলিশ যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও জানিয়েছেন মমতা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।