Dilip on SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জাঁতাকলে চাকরি হারিয়ে রাস্তায় শিক্ষক সমাজ। এসএসসি ভবনের সামনে রাতভর অবস্থান, সকাল পেরিয়েও আন্দোলন অব্যাহত। দাবি একটাই—ওএমআর শিট প্রকাশ ও ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা সামনে আনতে হবে। কারা যোগ্য, কারাই বা অযোগ্য।
Dilip on SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জাঁতাকলে চাকরি হারিয়ে রাস্তায় শিক্ষক সমাজ। এসএসসি ভবনের সামনে রাতভর অবস্থান, সকাল পেরিয়েও আন্দোলন অব্যাহত। দাবি একটাই—ওএমআর শিট প্রকাশ ও ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা সামনে আনতে হবে। কারা যোগ্য, কারাই বা অযোগ্য, তালিকা প্রকাশ করে পৃথকীকরণের ভরসা দিয়েছিল এসএসসি। তার দিনও ধার্য হয়েছিল। কিন্তু শুধু মৌখিক আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতিতে কাজ হল না, তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে গত সোমবার। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ‘যোগ্য-অযোগ্যে’র কোনও তালিকাই প্রকাশিত হয়নি। কথা দিয়ে কথা না রাখায় এসএসসি আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ভবনের সামনে রাতভর ধরনায় বসেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। ভুখা পেটে সকালেও চলছে একরোখা প্রতিবাদ।
সুপ্রিম রায়ে চলে গিয়েছে হকের চাকরি। শীর্ষ আদালতের একটা পেনের খোঁচাতেই চাকরি হারিয়েছেন বাংলার ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। মুহুর্তের মধ্যে চাকরি চলে যাওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁদের। হকের চাকরি ফেরতের দাবিতে দিনভর চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। যা নিয়ে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা। SSC-র চাকরি বাতিল নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে কী জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip on SSC Scam):-
তিনি বলেন, '' অবিচার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতেই হবে। নৈতিকভাবে আমরাও আছি বাংলার মানুষও আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাব্বিশ হাজার মানুষের চাকরি খেয়ে মেদিনীপুরে গিয়ে বলছেন, ১০ হাজার লোককে চাকরি দেবেন। এই যে ওনার যে মিথ্যাচার আবার উনি বলছেন। উনি তো কিছুই দেননি কিছুই করতে পারেননি। সব বাণিজ্য কারখানা চলে যাচ্ছে এখান থেকে। সরকারি চাকরিতে এত দুর্নীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। চাকরি করার পর রাস্তায় বসতে হচ্ছে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা চাইছি তারা আন্দোলন করুক। আবার কোর্টে গিয়ে আবেদন করুন। এর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য। যেন আঠারো হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী যাদের চাকরি বহাল করা হয়। এটা একমাত্র রাস্তা যেটা আদালতই করতে পারে। আমার মত, কোর্টেও চলুক মাঠে চলুক লড়াই।''
অন্যদিকে মঙ্গলবারই মেদিনীপুরের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''আপনারা কাজে যোগ দিন, বেতন সরকার দেবে''। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ''যারা বলছেন চাকরি ফেরত দেব, পয়সা দেব, তাদের দায়িত্ব। ব্রাত্য বসু কেন দিচ্ছেন না যোগ্যদের তালিকা। যারা আন্দোলন করছে তাদের কাছে প্রায় ১৮ হাজারের যোগ্য তালিকা আছে। তাদের কাছে তালিকা নিয়ে কেন মিলিয়ে দেখছেন না, ঠিক কি ভুল। কিসের আঁধারে বলছেন দেবে। তারাই সেটা কোর্টে পেশ করুন, ভেরিফিকেশন হোক আবেদন করুন। বাকি ৮০০০ যেন এর মধ্যে না ঢোকে। বাদ দিয়ে চাকরি হোক। সবাইকে বাঁচিয়ে রাখতে চান, কারণ তাদের থেকে পয়সা নিয়েছেন।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


