সংক্ষিপ্ত
ডালহৌসি, ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো এলাকায় ফাঁকা সরকারি জমি পাওয়া যাচ্ছে না। বেহালা, ঠাকুরপুকুর, জোকা, যাদবপুর, গরফা, মুকুন্দপুরের মতো অঞ্চলে জমি নিয়ে আবার অন্য ধরনের জটিলতা রয়েছে।
২০২২ সালে প্রথম পর্যায়ে ৫৯টি Satellite Health Center তৈরির জন্য বরাদ্দ মিলেছিল। তার মধ্যে ২২টি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ৩টির কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। বাকিগুলির কাজ চলছে। ২০২৩ সালে আরও ১০টি Satellite Health Center তৈরির বরাদ্দ মিলেছে। কিন্তু শহরের বাকি ৭৫টি ওয়ার্ডে জমিই মিলছে না এই প্রকল্পের রূপায়ণের জন্য।
বিশেষ করে ডালহৌসি, ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো এলাকায় ফাঁকা সরকারি জমি পাওয়া যাচ্ছে না। বেহালা, ঠাকুরপুকুর, জোকা, যাদবপুর, গরফা, মুকুন্দপুরের মতো অঞ্চলে জমি নিয়ে আবার অন্য ধরনের জটিলতা রয়েছে। সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সরকারি দফতরের ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে। সেগুলি পুরনিগমকে হস্তান্তর করতে হবে। সেটাও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
৬৯টি ওয়ার্ডে সেই জমি পাওয়া গেলেও ৭৫টি ওয়ার্ডে সেই জমি মিলছে না বলেই জানা গিয়েছে। শহর কলকাতায় এমনিতেই ফাঁকা জমি নেই। তার ওপর এই প্রকল্পের অন্যতম শর্তে(Condition) বলে দেওয়া হয়েছে, কেবলমাত্র সরকারি জমিতেই এই Satellite Health Center গড়া যাবে। কারও সম্পত্তি কিনে সেখানে হেলথ সেন্টার তৈরি করা যাবে না। আর তাতেই আটকে গিয়েছে শহরের ৭৫টি ওয়ার্ডে Satellite Health Center গড়ার কাজ।
কলকাতার পুরস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের দাবি, প্রত্যেকটি Satellite Health Center'র জন্য গড়ে মাত্র ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কম টাকায় কীভাবে কাজ হবে সেটাই বোঝা দায়। তারওপর মিলছে না জমি। অন্য কারও কাছ থেকে জমি কিনেও তা গড়া যাবে না। আর যেহেতু জমি মিলছে না, তাই কেন্দ্রের বরাদ্দও আসছে না। প্রকল্পের নির্মাণ না হওয়ায় আমজনতাই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।