সংক্ষিপ্ত
এই বছর, উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্কে হাওড়ার প্রথম জলের নীচে মেট্রো স্টেশনের থিম নিয়ে একটি পুজো প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। এখানে হাওড়ার প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো স্টেশন, যা সম্প্রতি তৈরি হয়েছে, তা মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুজো মণ্ডপে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন থিমে। জমকালো সাজে বিভিন্ন থিমে পূজার প্যান্ডেলও তৈরি করা হলেও এবার পুজো অন্য বারের তুলনায় একটু আলাদা। একই ধারাবাহিকতায়, এখন হাওড়ার প্রথম জলের নীচে মেট্রো স্টেশনের ঝলক দেখতে পাবে পূজা মণ্ডপে। সম্প্রতি শুরু হওয়া এই মেট্রোরুট নিয়ে মানুষের মনে উৎসাহের শেষ নেই।
এ বার, উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্কে (রাজবল্লপাড়া, শোভাবাজার মেট্রোর কাছে) হাওড়ার প্রথম জলের নীচে মেট্রো স্টেশনের থিম নিয়ে একটি দুর্দান্ত পুজো প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জগৎ মুখার্জি পার্কের সম্পাদক দ্বৈপায়ন রায় এবং সহকারী সচিব সৌরভ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন যে হাওড়ার প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো স্টেশন, যা সম্প্রতি তৈরি হয়েছে, তা মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
এর পথে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে দারুণ সুবিধা করে দিয়েছে। এবার আমাদের শিল্পীরা এই নিয়ে একটি থিম তৈরি করেছেন। হাওড়ার প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো স্টেশন এশিয়ার প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো স্টেশন, যেটি গঙ্গার নিচে তৈরি। মণ্ডপে মানুষ তা দেখতে পাবে। এর জমকালো সাজসজ্জা এবং আলোকসজ্জা অনেক মানুষকে আকৃষ্ট করবে। প্যান্ডেল নির্মাণের জন্য মোট ৩৫ লাখ টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই পুজো প্যান্ডেল গঙ্গার দূষণ থেকে রক্ষার বার্তা দেবে। প্যান্ডেল তৈরি করতে তিন মাসেরও বেশি সময় লেগেছে। এটি তৈরিতে ৩০ জন কারিগর নিয়োগ করা হয়েছে। জগৎ মুখার্জী পার্কের প্রাক্তন সম্পাদক রাজা মুখার্জি বলেন, এই প্যান্ডেলে এসে মানুষের মনে হবে যেন হাওড়ার আন্ডারওয়াটার মেট্রো স্টেশনে এসেছে। ডিজাইন করেছেন শিল্পী সুবল পাল।
এটি আমাদের পূজা কমিটির 88 তম বছর এবং প্যান্ডেলটি সর্বদা একটি অনন্য থিম দিয়ে সজ্জিত হয়, যা দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। থিম তৈরিতে লোহার রড, প্লাই, বিশেষ রং ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে।