সংক্ষিপ্ত

ধ্রুবা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, ভগীরথ প্রয়াস সম্মান তাদের আন্দোলনকে আরও অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর সংস্থা স্কোপ-র মূল উদ্দেশ্যেই হল স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে জলাভূমিকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকতে পারে- তাই চেষ্টা করা।

জলাভূমি বাঁচাও আন্দোলনের বড় সাফল্যের মুখ দেখল SCOPE । এই পুরস্কার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। এমনটাই জানালেন ধ্রুবা দাশগুপ্ত। তিনি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ও জলাভূমি আন্দোলনের পথিকৃৎদের স্মরণ করেন। পাশাপাশি জানান এতকিছুর পরেও জলাভূমি ধ্বংস হচ্ছে। যা ,বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি ডেকে আনবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি পর্ব কলকাতা জলাভূমি বাঁচানোর জন্য আরও শক্তিশালী আইন লাগু করার দাবিও জানিয়েছেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময়।

ধ্রুবা দাশগুপ্ত জানিয়েছে, ভারতের নদীগুলিকে রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এই পুরস্কার  স্কোপের প্রতিষ্ঠাতা ধ্রুতজ্যোতি ঘোষকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ না থাকলে এই পথ চলা কঠিন হয়ে যেত। তাছাড়া জলাভূমি রক্ষায় ডঃ কল্যাণ বাগচির অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, প্রাক্তন এই আইএসএস আধিকারীকের সঙ্গে তিনি কাজ করে অনেককিছু শিখেছেন।পূর্ব কলকাতার জলভূমিকে বোঝার জন্য তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন কল্যাণ বাগচি কখনই লাইমলাইটে আসতে চাননি। তিনি আরও বলেছেন তাদের দেখানো পথেই পূর্ব কলকাতার জলাভূমিগুলিকে রক্ষার চেষ্টা তিনি ও তাঁর সংগঠন করে যাচ্ছেন।

ধ্রুবা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, ভগীরথ প্রয়াস সম্মান তাদের আন্দোলনকে আরও অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর সংস্থা স্কোপ-র মূল উদ্দেশ্যেই হল স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে জলাভূমিকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকতে পারে- তাই চেষ্টা করা। ওয়েটল্যান্ড মাছের চাষের উদ্দ্যোগ নিয়েছে। যেগুলি একটি দামি মাছ সেই মাছ উৎপাদনেই জোর দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই সরকারের দুটি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি কঠিন ধাপ পার হওয়ার পরেই সাফল্য আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জলাভূমি সংক্রান্ত সংস্যাগুলি প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়াও তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জলাভূমিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান তৈরির দিকেও গুরুত্ব দেন তারা। স্বনির্ভর গোষ্টী তৈরি করে তাদের জলাভূমি কেন্দ্রিক রোজগারের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন তারা।

ইন্ডিয়া রিভার্স ফোরামের ভাগীরথ প্রয়াস সম্মান পেয়েছে,পরিবেশ নিয়ে কাজ করা করা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা SCOPE। এই সংস্থা মূলত পূর্ব কলকাতা কেন্দ্রিক। এই সংস্থার পূর্ব কলকাতার ওয়েটল্যান্ড জলাভূমি বাঁচাও আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক স্তুরে নিয়ে গেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে ধ্রুবা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন এই সম্মান একদিকে তাদের কাজের যেমন স্বীকৃতি দেয়, তেমনই তাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। স্কোপ-কলকাতাকে বিপিএস অ্যাওয়ার্ড 2022 সোসাইটি ফর ক্রিয়েটিভ অপারচুনিটিস অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি ইকোসিস্টেমস (স্কোপ-কলকাতা) সংস্থার বিভাগে বিপিএস অ্যাওয়ার্ড 2022-এর জন্য ইন্ডিয়া রিভারস ফোরামে জানিয়েছে, দরিদ্রদের পরিবেশবিদ হিসেবে পরিচিত ধ্রুতজ্যোতি ঘোষ এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিল। এর লক্ষ্য় হল বাস্ততন্ত্রকে দখল আর ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো। এই সংস্থা শহুরে বাস্ততন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শহুরে বর্জ্যের টেকসই ব্যবস্থাপন করতেও একাধিক পদক্ষেপ করছে। এই সংস্থা মূলত জলাভূমি রক্ষাকেই গুরুত্বদেয়। জলাভূমি রক্ষায় সাধারণ মানুষকে উৎসাহী করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে।

ওয়েট ল্যান্ডের পরিধি কমছে। অর্থাৎ ধ্বংস করা হচ্ছে ওয়েট ল্যান্ড। তা কিন্তু এখনও রক্ষা করা যায়নি। এই ধ্বংস রোধ করতে হয় তারজন্য আইন আরও শক্ত করার জরুরি। এখনও জলাভূমিক সংক্রান্ত আইন শক্তিশালী নয়। তিনি আরও বলেছেন ইস্ট কলকাতা ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের আইনের পাশাপাশি জলাভূমি আইন ও জমি আইনও শক্তিশালী করার জরুরি। ধ্রুবা দাশগুপ্তের কথায় এখনও পর্যন্ত জলা ভূমি টিকিয়ে রাখার জন্য ময়লা জলের যোগান তেমনভাবে বাড়ানো যায়নি। অথচ জলাভূমি টিকিয়ে রাখার জন্য জলের যোগানও সবথেকে বেশি জরুরি।