সংক্ষিপ্ত

আগুন দেখা মাত্রই বিমানবন্দর থেকে যাত্রী ও কর্মীদের বাইরে বের করার কাজ শুরু হয়ে যায়। যারা অগ্নিকাণ্ডের সময় বিমানবন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় ছিলেন তাদেরকেও গেটে আটকে দেওয়া হয়।

ধবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। এদিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকাই আগুন লাগে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনা কর্মীদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে। তবে প্রবল আতঙ্কের জেরে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ছুটে আসে সিআইএসএফ-এর জওয়ানরা। ভিস্তারা কাউন্টারে যেখানে কর্মীরা কাজ করছিলেন তাঁরা দৌঁড়ে সরে যান। আগুন দেখা মাত্রই বিমানবন্দর থেকে যাত্রী ও কর্মীদের বাইরে বের করার কাজ শুরু হয়ে যায়। যারা অগ্নিকাণ্ডের সময় বিমানবন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় ছিলেন তাদেরকেও গেটে আটকে দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমাবন্দরের গেটের সামনে গার্ড ওয়াল করে একটা নিরাপদ বূহ্য তৈরি করা হয়। একে একে যাত্রীদের বের করে নিয়ে আসা হয়। তবে যাত্রীদের মধ্য থেকে আতঙ্ক যেন কাটতেই চাইছে না। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েও তাঁদের চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ। এদের মধ্যে অনেকেরই রাতের বিমান ধরে দেশের বিভিন্ন শহরে যাওয়ার কথা ছিল। এখন আদৌ তাঁরা বিমান ধরতে পারবেন কি না বা কখন ধরতে পারবেন তা কেউই বুঝতে পারছেন না। অন্যদিকে আগুন দেখে সমস্ত ডিপারচার লাউন্জের কাউন্টারের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলত বহু যাত্রী লাগেজ নিয়ে আসতে পারবেন কি না বুঝতে না পেরে ভিতরে লাগেজ ফেলে বেরিয়ে এসেছিলেন। পাশাপাশি সমস্ত বিমান-এর টেক অফ হোল্ড হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের বহর বেড়ে যায়। ইতিমধ্যেই স্পাইস জেট থেকে শুরু কর ইন্ডিগো এবং বেশি কিছু বিমান সংস্থা তাদের উড়ানের সময় পিছিয়ে দিয়েছে। বহু উড়ান বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বাইরে গরমের মধ্যে বাচ্চা এবং প্রবীণদের নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাত্রীরা। এদের মধ্যে কতজন বিমান ধরতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। উল্লেখ্য অগ্নিকাণ্ডের সময় বিমান বন্দরের সিকিউরিটি চেক ইন-এ লম্বা লাইন ছিল, এখানে থাকা যাত্রীদের নিরাপদ দূরত্বে করে যেতে বলা হয়, আবার কিছু যাত্রী যারা সিকিউরিটি চেক ইন পার করে বিমানে ওঠার গেটে অপেক্ষা করছিলেন তাদেরও সেফটি জোনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সূত্রের খবর ভিস্তারার কনভেয়ার বেল্টের পাশে আগুন লাগে প্রথমে, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে। শর্টসার্কিট থেকে আগুন বলে অনুমান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৩টি ফায়ার ব্রিগেডের ইঞ্জিন। খুলে দেওয়া হয়েছে সমস্ত দরজাও। দমকল সূত্রে জানা যাচ্ছে আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে পুরো বিমানবন্দর। আস্তে আস্তে কালো ধোঁয়ার প্রকোপ কমছে।