সংক্ষিপ্ত
Nabanna Abhiyan: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থা। হঠাৎ করেই যেন আতান্তরে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন চাকরি প্রাপক। শীর্ষ আদালতের তরফে তিনমাসের মধ্যে ফ্রেস প্রসেসিংয়ের আশ্বাস দেওয়া হলেও আর কোথাও যেন ভরসা রাখতে পারছেন
Nabanna Abhiyan: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থা। হঠাৎ করেই যেন আতান্তরে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন চাকরি প্রাপক। শীর্ষ আদালতের তরফে তিনমাসের মধ্যে ফ্রেস প্রসেসিংয়ের আশ্বাস দেওয়া হলেও আর কোথাও যেন ভরসা রাখতে পারছেন সদ্য চাকরিহারা এই সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এই আবহে সরকারকে এবার ডেডলাইন বেঁধে দিলেন চাকরিহারা, বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের মঞ্চ। জানা গিয়েছে, ১৫ এপ্রিল অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সরকারকে ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে। তা না হলে ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দেবেন তাঁরা। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সদ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, ''সমস্ত রাজনৈতিক দল, সাধারণ মানুষ সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সৌরভ গাঙ্গুলিকে পার্সোনালি আমরা আমন্ত্রণ জানাবো। তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অনেক ভালো সম্পর্ক দেখেছি। তিনি যেন আমাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করিয়ে দেন। এই ৭ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ও আমাদের দাবির যদি সুষ্ঠ সমাধান হয়, তাহলে ২১ এপ্রিল আমরা কর্মসূচি বাতিল করবো। না হলে আমরা নবান্ন অভিযান করবো।''
তাঁরা আরও বলেন, ''১২টি সংগঠন একত্রিত হয়েছি আমরা। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো। কিন্তু কোনও যদি ঝামেলা হয় তার দায় পুলিশ প্রশাসনকে নিতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করব আমাদের সঙ্গে আসুন যোগদান করুন আন্দোলনে।'' ১৫ এপ্রিল দুপুর ১২ টা থেকে জমায়েত হবে। এবং সাঁতরাগাছি ও কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
চাকরি হারা মঞ্চের আরেক সদস্য বলেন, ''আমরা সবাই বঞ্চিত। তাই এবার সময়ে হয়েছে একত্রিত হওয়ার। পরিযায়ী শ্রমিকদের বলব, আপনারাও আসুন, আওয়াজ তুলুন। যে কারনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে এনেছিলাম সেটা পূরন হয়নি। আমাদের এখানে পরিচয় কী আমরা শুধু এখানে ভোট দেবো আর বাইরে গিয়ে চাকরি করবো। তাই আমরা সব বঞ্চিতরা একত্রিত হব। এখন আর রাজনীতি করার সময় নেই , যে অন্যায় মুখ্যমন্ত্রী করছে তা বন্ধ করতে হবে। কোনও চুনোপুঁটি না, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবো। জীবন যখন বিপন্ন সবাই চলো নবান্ন।'' বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ২০০৯ সালের প্রাথমিক চাকরি প্রার্থী বলেন, ''আমরা ১৬ বছরের দুর্নীতির লড়াই করেছি। এখন করছি সুপ্রিম কোর্টে। আমাদের মা বাবা মারা গেছেন, সেখানে কাশফুল হয়েছে। বলা হচ্ছে সেই কাশফুল দিয়ে ব্যবসা করতে বলছে। লন্ডনের ঘটনায় উনি বলছেন ওনার মান সম্মানের ক্ষতি করেছে কিন্তু আমরা সেটা করিনি, এখনও ওনার ওপর আস্থা রেখেছি। ডায়মন্ড হারবারের আন্দোলন করেছিলাম। কালকে আমার ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে, মারধর করা হয়েছে। এখান থেকে প্রেস কনফারেন্স করে আমরা বাড়ি ফিরে যেতে পারবো তো! সেই ভয়ও আমাদের আছে। আপনি অ্যাডভোকেটদের বলছেন না মামলাগুলো শেষ করুন। আমরা মুখ্যমন্ত্রী আর শিক্ষামন্ত্রীকে বলব চাকরিহারাদের যন্ত্রনা বুঝছেন, আমাদের টা বুঝলেন না। ওদের ৭ তারিখ ডাকলে আমাদের কেন ডাকবেন না।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।