অনির্দিষ্টকালের জন্য সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে পঠনপাঠন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজের গভর্নিং বডি। তা জানানো হয়েছে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। 

কসবাকাণ্ডের পর থেকে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে পঠনপাঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তেই কলেজের পঠনপাঠন বন্ধ হয়েছে বলে খবর। আইন কলেজের পড়ুয়াদের প্রতিষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। গতকালই কলেজে এই নিয়ে নোটিস জারি হয়েছে।

কসবার এই আইন কলেজেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রাক্তনী এবং দুই বর্তমান পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। মূল অভিযুক্ত শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পেশায় তিনি আইনজীবী। কসবার আইন কলেজের এই ঘটনার প্রতিবাদ চলছে দিকে দিকে। এই পরিস্থিতিতে এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

অনির্দিষ্টকালের জন্য সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে পঠনপাঠন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজের গভর্নিং বডি। তা জানানো হয়েছে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। জানা গিয়েছে, কলেজে তথ্য প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় তদন্ত মূলক পরীক্ষা হতে পারে। সঙ্গে ছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অভিযোগ ওঠে গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের রক্ষ্মীর রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীর ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, মোট দু দফার তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন হয়েছিল। প্রথমে ইউনিয়ম রুমে, তার পরে গার্ডস রুমে।

ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিত প্রসঙ্গে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। চেতলা ব্রিজের কাছে এক ব্যক্তিতে ছুরি গিয়ে খুনের চেষ্টাও করেছিল সে। তেমনই মনোজিৎ-র বিরুদ্ধে দুইটি অস্ত্র আইন সংক্রান্ত মামলা আছে। আইন পড়াও সে কারণে চার বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৪ সালে আইন কলেজে ভর্তি হলেও মামলার চাপ এড়াতে গা ঢাকা দেয়। ২০১৮ সালে ফের কলেজে ভর্তি হয় এবং নতুন ছাত্রীদের টার্গেট করতে শুরু করে।

বর্তমানে চলছে ঘটনার তদন্ত। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দিয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে নানান তথ্য প্রমাণ।