কসবা আইন কলেজের ধর্ষণ মামলায় মনোজিৎ মিশ্র সহ চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিন নথি, ডিজিটাল নথি এবং ফরেনসিক রিপোর্ট পরীক্ষা করার জন্য তাদের জেরা করা হবে।

কসবা আইন কলেজে আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় মনোজিৎ মিশ্র এবং তার তিন সঙ্গীকে ফের পুলিশ হেফাজতে নিল পুলিশ। ৮ অগস্ট পর্যন্ত থাকবে পুলিশি হেফাজতে। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, তার দুই সঙ্গী জায়েব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। তারপর চার অভিযুক্তকে লালবাজার নিয়ে গিয়ে শুরু হয়েছে জেরা।

মঙ্গলবার মনোজিৎ মিশ্রর আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায় ও পিনাকীর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য তাদের জামিনের আবেদন জানান। জায়েব ও প্রমিতের আইনজীবীও জামিনের আবেদন করেছেন। তবে, এই প্রথম মনোজিৎ মিশ্রের জামিনের জন্য আবেদন করেছে তার আইনজীবী। তবে, পুলিশ এর বিরোধিতা করে। তাদের দাবি বৈদ্যুতিন নথি, ডিজিটাল নথি, ফরেনসিক রিপোর্ট, সিসিটিভির ফুটেজ, কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক রিপোর্ট লালবাজারে গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। তারা আগে যা বয়ান দিয়েছিল, তার সঙ্গে রিপোর্ট কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলো মেলানো ও যাচাই করার জন্য চার অভিযুক্তকেই জেরার প্রয়োজন বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে মনোজিতের আইনজীবীর দাবি. এনআরএস হাসপাতালের সামনে মনোজিতকে পুলিশের গাড়িতে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে তার আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার কোনও ডিএনএ পরীক্ষা হয়নি। পরনের কাপড়ের তল্লাশির আগে পুলিশ ইনজেকশন দেওয়া হয়। তবে, পুলিশ এই সকল দাবিকে ভিত্তিহীন বলেছে। কারণে গ্রেফতারের পর মনোজিতকে বাঘাযতীন জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ বলে দাবি করে।

প্রসঙ্গত, অভিযোগ ওঠে গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের রক্ষ্মীর রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীর ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন।