সংক্ষিপ্ত
অনুমতি না থাকলেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অন্য ঘাটে এই গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয় এদিন। গঙ্গা আরতি শেষে সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া “আমরা বোঝাতে চাই পুলিশ যদি ডালে ডালে চলে তবে আমরা পাতায় পাতায় চলি।”
অনুমতি ছিল না। বঙ্গ বিজেপির গঙ্গা আরতির কর্মসূচিতে মেলেনি সবুজ সংকেত। তবে তাতে কি! বাবুঘাটেই গঙ্গা আরতি সারল বিজেপি। সৌজন্যে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার সন্ধেয় বাবুঘাটে পৌঁছন সুকান্তবাবু। সেখানে গঙ্গারতি করেন তিনি। এর পর বাজে কদমতলা ঘাটের দিকে হাঁটতে থাকেন তিনি। গঙ্গা আরতি শেষে সুকান্ত যখন ফেরার পথ ধরেছিলেন তখন পুলিশ তাঁদের প্রিজন ভ্যানে করে বেশ কিছু বিজেপি সমর্থককে লালবাজারে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করছিল। দেখা মাত্রই সেই প্রিজন ভ্যানের সামনে দলবল নিয়ে বসে পড়েন সুকান্ত। ফলে আটক করা বহু বিজেপি সমর্থককেই এখনও পর্যন্ত লালবাজারে নিয়ে যেতে পারেনি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সুকান্ত সহ বহু নেতা কর্মীদের প্রিজনভ্যানে তোলে পুলিশ।
অনুমতি না থাকলেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অন্য ঘাটে এই গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয় এদিন। গঙ্গা আরতি শেষে সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া “আমরা বোঝাতে চাই পুলিশ যদি ডালে ডালে চলে তবে আমরা পাতায় পাতায় চলি।” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, হিন্দুদের যে কোনও কর্মসূচিতেই বাধা দিচ্ছে পুলিশ। তাঁর কথায় উঠে আসে দুর্গাপুজো-সরস্বতী পুজোর প্রসঙ্গ।
এর আগে, দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, পুলিশের অনুমতি না থাকলেও মঙ্গলবার গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হবেই। নির্দিষ্ট সময়ে বেনারস থেকে আসা পুরোহিতের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে গঙ্গা আরতি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশি আপত্তির কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করছে। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, “আমি যাব। গঙ্গা আরতিও করব। এই কর্মসূচি অবশ্যই হবে।”
পুলিশের বক্তব্য ছিল, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ইতিমধ্যেই বহু পুন্যার্থী বাবুঘাটে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। এমন অবস্থায় বিজেপির কর্মসূচি আয়োজিত হলে, যানজট তৈরি হবে এবং পুন্যার্থীদের সমস্যায় পড়তে হবে। পাশাপাশি জি-২০ বৈঠকও চলছে কলকাতায়। এই সমস্ত কারণেই মেলেনি অনুমতি। এসব পুলিশের ‘অজুহাত’, কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “গঙ্গা আরতি করলে কী করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে? যাঁরা গঙ্গা সাগরে যাওয়ার জন্য এসেছেন তাঁরা গঙ্গার পুজো করেন। আমরাও করছি। আমাদের দেখে তাঁরা তো আর রেগে যাবেন না। পুলিশ বাধা দিতে চাইছে তাই বাধা দিচ্ছে। তবে সেই বাধা আমরা অতিক্রম করতে পেরেছি।”