লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে দুর্দান্ত খবর! রাজ্যের মুকুটে জুড়ল নয়া পালক!
- FB
- TW
- Linkdin
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ভোটের সময় অনেকগুলি জনপ্রিয় প্রকল্পের উদ্ভাবন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্প ছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার।
যদিও এই প্রকল্প নিয়ে বেশ বড়সড় ঘোষণা তিনি বিধানসভা ভোটের আগেই জানিয়ে ছিলেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মূলত মহিলাদের জন্য।
আগে এই প্রকল্পের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী জানান মহিলারা ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে পাবেন। শুধু মাত্র মহিলাদের মানতে হবে কিছু শর্ত ও নিয়মাবলী।
সেগুলি ঠিকঠাক থাকলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য যারা আবেদন করবেন তারা প্রত্যেকেই ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে পাবেন।
৫০০ টাকা বরাদ্দ ছিল সাধারণ মহিলাদের জন্য ও ১০০০ টাকা বরাদ্দ ছিল তপশিলি ও অন্যান্য উপজাতিদের জন্য।
পরে যদিও এই টাকা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা অর্থাৎ সাধারণ মহিলাদের জন্য ১০০০ করা হয় ও তপশিলি উপজাতিদের জন্য ১০০০ টাকা বাড়িয়ে ১২০০ করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রত্যেক মানুষের জন্যই কোনও না কোনও প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)।
কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) থেকে শুরু করে সবুজ সাথী, তরুণের স্বপ্ন, সেই তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক স্কিমের।
এবার কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সমগ্র ভারতে ভোগব্যয় বৃদ্ধির হার সাড়ে ৩%। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ!
বাংলার ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির হার হল ৫.৩৯%। এর নেপথ্যে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু, কন্যাশ্রী (Kanyashree), বার্ধক্য ভাতার মতো প্রকল্পগুলির ‘অবদান’ কার্যত সমীক্ষায় মেনে নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের যে সকল প্রকল্পে সরাসরি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়, সেগুলির ‘সুফল’ হিসেবেই চাল, ডাল সহ খাদ্যশস্যের বাইরে অন্যান্য পণ্য ক্রয়ের ক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সমীক্ষা মেনে নিয়েছে।