বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে মুর্শিদাবাদ জেলার এই বিতর্কিত নেতাকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পারদ চড়ছে মুর্শিদাবাদের বাবরি মসজিদ নিয়ে। ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙাতে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন বলে জানিয়ে দিয়ে ছিলেন হুমায়ুন। এবার সেই ইস্যুতেই পালটা ধাক্কা খেলেন বিধায়ক। দল থেকে সাসপেন্ড করা হল তাঁকে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে মুর্শিদাবাদ জেলার এই বিতর্কিত নেতাকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এই সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার দুই নেতা, রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান ও হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ। মুর্শিদাবাদ জেলার এই দুই নেতা দলের সিদ্ধান্তকে ‘যথার্থ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে সাসপেনশন সংক্রান্ত কোনও চিঠি তিনি পাননি বলেই দাবি করেছেন হুমায়ুন।
হুমায়ুন বলছেন, ‘‘আমি এখনও কোনও চিঠি পাইনি। সঠিক না জেনে কোনও মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করুন, অনেক কিছু বলার আছে।’’ সঙ্গে জুড়ে দেন, ‘‘আগামিকাল শুক্রবার কিংবা সোমবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। আমাকে চক্রান্ত করে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ৬ তারিখের কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকছে।’’
অন্যদিকে ফিরহাদের দাবি, হুমায়ূনের এমন কর্মকাণ্ড রাজ্যের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে পারে। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে হুমায়ূনের এমন অবস্থান দলের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না, তাই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ডাক পেয়ে বৈঠকে যোগদান করতে এসেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক, যাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
কলকাতার সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কেউ কোনও মসজিদ তৈরি করতেই পারেন। তবে সেই ঘটনায় যেন কোনও সাম্প্রদায়িক উস্কানি না থাকে। আমিও চেতলা এলাকার একটি মসজিদের মুতওয়াল্লি। সেই বিষয় নিয়ে কারও কোনও আপত্তি নেই, নেই কোনও সাম্প্রদায়িক উস্কানি। কিন্তু একটি মসজিদ নির্মাণের কথা বলে যে ভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে, তা আমাদের মতো রাজনৈতিক দলের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’’


