সংক্ষিপ্ত
রাস্তায় ময়লা ফেলা ব্যক্তিদের প্রথম অপরাধের জন্য এবার দিতে হবে ৫২৫ টাকা ফাইন।দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের জন্য দিতে হবে যথাক্রমে ৭৩৫ টাকা এবং ১০৫০ টাকা
এবার যারা রাস্তায় আবর্জনা ফেলছেন তাদের উপর মোটা অংকের জরিমানা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিলো কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কর্তৃক নেওয়া এই পদক্ষেপে এবার একটু হলেও রাস্তায় আবর্জনা ফেলার প্রবণতা কমবে নাগরিকদের এমনই ধারণা করছেন সবাই। গত ১৫ দিনে দুবার বৈঠক করে কলকাতা বাসীর জন্য এমন শাস্তি বিধির সিদ্ধান্ত নেন মেয়র। এই বিধি অনুসারে রাস্তায় ময়লা ফেলা ব্যক্তিদের প্রথম অপরাধের জন্য ৫২৫ টাকা ফাইন দিতে হবে। দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের জন্য দিতে হবে যথাক্রমে ৭৩৫ টাকা এবং ১০৫০ টাকা। ইতিমধ্যেই এই বিধিনিষেধ লাগু হয়ে গেছে শহরে। দক্ষিণ কলকাতার কসবায় একটি বাজার সমিতির যে যে দোকানগুলি দোকানের সামনে বর্জ্য ফেলেছি তাদের ইতিমধ্যেই ফাইন করা হয়েছে। বর্জ্য সংগ্রহের তত্ত্বাবধানে থাকা কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরো এবং ওয়ার্ড-স্তরের আধিকারিকরা এই নিয়মাবলীগুলি যাতে অত্যন্ত সঠিকভাবে কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে আরোপিত হয় সেবিষয়ে নজর দিচ্ছেন।
ফিরহাদ বলেন ,'প্রায়শই, আমরা দেখি মানুষ একটি বর্জ্য ভর্তি প্যাকেট গলির মুখে ফেলে রাখে। তারা মনে করে সাফাই কর্মীরা এই বর্জ্য তুলে নিয়ে যাবে ,কিন্তু বর্ষাকালে, এই ধরনের প্লাস্টিকের ব্যাগ রাস্তার জল নিষ্কাশন হতে বাধা দেয়,তাই এর মোকাবিলা করতে আমরা এই বিশেষধরণের বিধিনিষেধ লাগু করেছি।কলকাতায় ডেঙ্গুর ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কঠিন বর্জ্যের সঠিক নিষ্পত্তি ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে একটি অপরিহার্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । রাস্তার এক কোণে ফেলা বর্জ্য যা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না সেটাই পরবর্তীকালে মশার প্রজনন স্থানে পরিণত হয়। ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রাথমিক ট্রান্সমিটার এডিস ইজিপ্টি মশা এক চামচ পানিতেও বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
কেএমসি সদর দফতরের একজন আধিকারিক বলেছেন যে বরো এবং ওয়ার্ড-স্তরের আধিকারিকদের এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা যখনই তারা বাইরে বেরোবেন তখন চালান নিয়ে বেরোবেন যাতে যে কেউ ময়লা ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই তার বিচার হয়। “যদি কেউ হাতেনাতে ধরা না পড়ে তবে তারা অস্বীকার করার সুযোগ পাবে না যে তারা রাস্তায় বর্জ্য ফেলেছে,” কর্মকর্তা জানান। কলকাতাবাসীদের একটি অংশ অবশ্য মনে করে যে এই ধরনের জরিমানা আরোপ করার আগে কেএমসিকে শহর জুড়ে আরও বেশি ডাস্টবিন সরবরাহ করা উচিত যাতে সচ্ছল নাগরিকরা রাস্তায় আবর্জনা ফেলতে বাধ্য না হয়।
ভারতবর্ষের কাস্টমস বিভাগের তৎপরতা নজির গড়ল দেশে, একই দিনে দুই বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার অবৈধ সোনা
'ভারতের দিকে কুনজর দিলে আমরাও উপযুক্ত জবাব দেব', আবারও হুঁশিয়ারি রাজনাথের