সংক্ষিপ্ত

রাজ্য সরকারের চিকিৎসক দল বৃহস্পতিবার অনশনমঞ্চে আসেন। সাত জন অনশনকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে । চার সদস্যের দলটি জানিয়েছে গোটা বিষয়টি লালবাজারকে জানান হয়েছে।

 

১০০ ঘণ্টা পার হয়েগেছে সপ্তমীর সকালেই। ধর্মতলার মেট্রো চ্যালেনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছে দুই ৭ জুনিয়র ডাক্তার। কিন্তু তাদের মধ্যে দুই জনের শারীরিক অবস্থা অত্যান্ত খারাপ হচ্ছে। এই দুই চিকিৎসককে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন। তেমনই জানিয়েছে রাজ্য সরকারের গঠিত চিকিৎসক দল। অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের হাল দেখতে বৃহস্পতিবার চার তিকিৎসকের একটি বিশেষ দল গঠন করেছে রাজ্য সরকার। দেই দলই ধর্নামঞ্চে দিয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকেও এদিন পাল্টা রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনও অনশনকারীর ক্ষতি হলে তার দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকে।

রাজ্য সরকারের চিকিৎসক দল বৃহস্পতিবার অনশনমঞ্চে আসেন। সাত জন অনশনকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে । চার সদস্যের দলটি জানিয়েছে গোটা বিষয়টি লালবাজারকে জানান হয়েছে। প্রতিনিধি দল বলেছে, চার দিন পার হয়ে গিয়েছে। শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। অনশনকারীদের আরও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন। অনশনকারীদের মধ্যে অনিকেত মাহাতো ও স্নিগ্ধা হাজারকে হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরি । প্রতিধিনি দল আরও জানিয়েছে, সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ডাক্তারদের একাধিক সংগঠন জানিয়েছে অনশনকারীদের কিছু হলে তার দায় নিতে হবে সরকারকে। ফেডারেশন অব মেডিক্যাল অ্যাসোশিয়েশন ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে এসে দ্রুত পরিস্থিতি সমাধান করতে আবেদন জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে। না হলে তাঁরা পুরোপুরি কর্মবিরতিতে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কোনও ভোট ব্যাঙ্ক ও পুলিশ এই আন্দোলন রুখতে পারবে না বলেও জানিয়েছে এই সংগঠন।