সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাজির করান হয় আলিপুর আদালতে। আন্দোলনকারীরাও জড়ো হন আদালতের সামনে। সেখানেও চলেছে বিক্ষোভ। চিকিৎসকদের তরফে আইনজীবী বলেন, সাড়ে ৭টা নাগাদ পুলিশ বাধা দেয়। রাত ১১.৩৫ মিনিটে FIR করা হয়।

 

ত্রিধারা সম্মিলনীতে স্লোগান দিয়ে গ্রেফতার হওয়া ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেনি আলিপুর আদালত। তাদের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাজির করান হয় আলিপুর আদালতে। আন্দোলনকারীরাও জড়ো হন আদালতের সামনে। সেখানেও চলেছে বিক্ষোভ। চিকিৎসকদের তরফে আইনজীবী বলেন, সাড়ে ৭টা নাগাদ পুলিশ বাধা দেয়। রাত ১১.৩৫ মিনিটে FIR করা হয়। ওই সময়ের মাঝে, স্বাস্থ্য ভবনে মিটিং চলছিল। তাঁর দাবি, সেই মিটিংয়ের ভেস্তে যাওয়ার কারণেই গ্রেফতার। না হলে আগেই ছেড়ে দিত বলে সওয়াল করেন চিকিৎসকদের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, মিটিং ফলপ্রসূ না হওয়াতেই গ্রেফতার, আর তা না হলে আদালতে পেশ করতে হত না। এটা একটা শান্তিপূর্ণ মিছিল ছিল।

এরপর সরকারি আইনজীবী বলেন, এটা কোনও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নয়। একজন সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, প্যান্ডেলে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। সেটাই কি প্রতিবাদের জায়গা? আজ যদি ওখানে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত ওই ভিড়ের মধ্যে, তাহলে কী হত? তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, শীর্ষ আদালত কি বলেছে ওইরকম জায়গায় গিয়ে প্রতিবাদ করতে?

পুলিশের তরফ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, 'তিনজন পুলিশ কর্মী এবং সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিবাদ নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমাদের আপত্তি কোথায় করা হচ্ছে?' যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ চিকিৎসক নন বলেও পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ওই ৯ জনকে পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দেয় আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। পরবর্তী শুনানি চলতি মাসের ১৭ তারিখে হবে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, ৯ জন সাধারণ নাগরিককে শান্তিপূর্ণ মিছিলে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া এবং আদালতে তাদের জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় নাগরিক সমাজ সহ জুনিয়র ডাক্তার ও সিনিয়র ডাক্তাররা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং পরবর্তীতে আরো বড় রকম আন্দোলনের পদক্ষেপ নিতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।