সংক্ষিপ্ত

এর আগে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যস্ত হয়ে পড়ার দরুন উদ্বোধন হয়নি জোকা-তারাতলা মেট্রোর। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরে যাত্রা সূচনার সম্ভাবনা।

দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে যাত্রা শুরু করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে জোকা-তারাতলা মেট্রো। বহুবার বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণের পর বেহালাবাসীর আশা ছিল যে, এবছর বড়দিনের আগেই চলতে শুরু করবে এই রুটের মেট্রো রেল। কিন্তু, বাধ সাধল উদ্বোধন। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আসা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়ে উদ্বোধন করানোর পরিকল্পনা করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ, সেই অনুযায়ী সেরে ফেলা হয়েছিল প্রস্তুতিও। কিন্তু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে সময় অত্যন্ত পরিমিত থাকায় বড়দিনের আগে চাকা গড়াল না। এখন আশা নিউ ইয়ারের উৎসব। কারণ, নতুন বছর শুরুর আগেই কলকাতায় আসছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাত ধরে সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে যেতে পারে জোকা মেট্রোর দরজা।

সূত্রের খবর, আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পশ্চিমবঙ্গ সফরের দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন পূর্ব রেল এবং উত্তর সীমান্ত রেলের একাধিক প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। এই উদ্বোধনগুলির সঙ্গেই যাত্রী পরিবহণের জন্য তাঁর উপস্থিতিতেই খুলে দেওয়া হতে পারে জোকা-তারাতলা মেট্রোপথ।

জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠক উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর কলকাতায় আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের থাকার কথা আছে। সে দিন প্রধানমন্ত্রীর ঠাসা কর্মসূচি চার-পাঁচটি ভাগে বিভক্ত থাকতে পারে বলে জানা গেছে। তারই মধ্যে রেলের একাধিক প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠান থাকছে বলে রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগে, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য সফরের সময়ে জোকা-তারাতলা মেট্রোর উদ্বোধন ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু রেল মন্ত্রকের সম্মতি না মেলায় ওই সময়ে অনুষ্ঠান হয়নি।

মেট্রোর তরফে অবশ্য পরিষেবা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গত ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই সেরে রাখা হয়েছে। মেট্রোর কর্তারা বিষয়টি রেল মন্ত্রককে জানিয়েও দিয়েছেন। সূত্রের খবর, তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ে পূর্ব রেল এবং উত্তর সীমান্ত রেলের একাধিক প্রকল্পের সঙ্গে মেট্রোপথের সূচনার বিষয়টিকেও যুক্ত করার কথা ভাবা হয়। পূর্ব রেলের হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে চন্দনপুর ও বারুইপাড়া স্টেশনের মধ্যে চতুর্থ লাইনও ওই দিন খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে, বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের অনুষ্ঠান কী ভাবে, কোথায় হবে, তা এখনও পরিকল্পনার স্তরে বলে সূত্রের খবর।


আরও পড়ুন-
চব্বিশে চব্বিশ, অমিত শাহের সফরের পর বঙ্গ বিজেপির উদ্দেশ্যে কড়া ‘টার্গেট’ জেপি নাড্ডার