সংক্ষিপ্ত

হিমাচলে কংগ্রেসের কাছে হারের পর বাংলায় এসেছিলেন স্বয়ং অমিত শাহ, দলের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘বিজেপি ক’মে বাম বাড়ছে কেন?’। সেই সমস্যার সুরাহা করতে এবার বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জন্য কড়া বার্তা দিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। 

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সারা ভারত জুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। আর পশ্চিমবঙ্গ হল এমন একটি রাজ্য, যেখানে পর পর কয়েকটি নির্বাচনে কিছু কিছু জায়গা আয়ত্বের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলেও এক টানা পরাজয়ের শিকারই হতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। হিমাচলে কংগ্রেসের কাছে হারের পর বাংলায় এসেছিলেন স্বয়ং দলের প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ, প্রথম দিনেই দলের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘বিজেপি কমে বাম বেড়ে যাচ্ছে কেন?’। সেই সমস্যার সুরাহা করতে এবার বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জন্য কড়া বার্তা দিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

চব্বিশের ভোটে বাংলা থেকে আসন জিততে হবে ২৪টি। নির্বাচনের আগে টার্গেট বেঁধে দেওয়া হল বঙ্গ বিজেপি নেতাদের জন্য। প্রাথমিকভাবে এই লক্ষ্যমাত্রাই রেখেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই লক্ষ্য পূরণে বিজেপির প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে পারে রাজ্যে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা, অর্থাৎ নতুন-পুরনোদের দ্বন্দ্ব এবং নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয় মনোভাব। দলীয় বৈঠকে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন, ‘‌বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে ভুল হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে হবে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দ্রুত মেটান। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথস্তরে কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিন।’‌

নয়াদিল্লির বৈঠকে সিএএ ইস্যু নিয়ে আবার সরব হন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু, এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নাড্ডা। তবে, বাংলার রিপোর্ট নিয়ে তিনি বেশ অসন্তুষ্ট। রাজ্য বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠীকোন্দল থেকে শুরু করে সংগঠন ভেঙে পড়া, সবকিছু নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। দলীয় সূত্রের খবর, শান্তনু ঠাকুরের কথা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, এটা বিজেপির একেবারে গোড়ার সমস্যা। উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিতে দল অঙ্গীকার করেছে।

সোমবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের বাড়িতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে। সেখানে বাংলার বিজেপি সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডের মতো শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সংগঠন সম্পাদক বি এল সন্তোষ। এখানেই উপস্থিত দলের প্রত্যেক সাংসদের আওতায় যে ক’টি বিধানসভা আসন রয়েছে, সেগুলির সাংগঠনিক হালহকিকত সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এমনকী সাম্প্রতিককালে শুভেন্দু অধিকারীর তারিখ ঘোষণা এবং তার জেরে দলের অন্দরে চাপা উষ্মায় বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব।


আরও পড়ুন-

নিউ ইয়ারের আগেই ফের হতে পারে মোদী-মমতা সাক্ষাৎ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা
নেই পদ্ম, নেই জোড়াফুল, কাশীনাথপুর সমবায় নির্বাচনে একচেটিয়া জয় হল বামেদের
ডিসেম্বরের শহরে ভ্রমণকারীদের জন্য সুখবর, যাতায়াতে সুবিধা আনতে বাসের সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর