সংক্ষিপ্ত

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে শিশুকন্যার মা রূপালী মণ্ডল এবং অভিযুক্ত রূপা দাসের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন মমতা। ঘটনায় পাটুলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রূপা দাসকেও।

 

চার লক্ষ টাকায় কন্যাসন্তান বিক্রির অভিযোগ। খাস কলকাতার বুকেই ঘটল এমন ঘটনা। ঘটনায় অভিযুক্ত কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার এক ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মী-সহ আরও তিন-চারজন। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কর্মীকে। এছাড়া শিশু কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নোনাডাঙা এলাকা থেকে মমতা পাত্র নামে এক মহিলাকে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে শিশুকন্যার মা রূপালী মণ্ডল এবং অভিযুক্ত রূপা দাসের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন মমতা। ঘটনায় পাটুলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রূপা দাসকেও।

২১ দিনের কন্যাসন্তান বিক্রির ঘটনা খাস কলকতা শহরে। জানা যাচ্ছে সন্তান কেনার অভিযোগে অভিযুক্ত গৃহবধূ কল্যাণী গুহকে বুধবার আটক করে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে লালতি দে নামের আরও এক অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। বেহালার একটি আইভিএফ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে তাঁদের তল্লাশী চালানো হয়। সেখানেই বেনিয়াপুকুরের ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের খোঁজ পান তদন্তকারী অফিসাররা। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ডায়গনস্টিক সেন্টারের আড়ালেই চলত শিশু কেনা বেচার কারবার। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে অভিযুক্তদেরও। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে গোলাম অম্বিয়া মানের এক ব্যাক্তিকে। জানা যাচ্ছে এই গোলামই কল্যানীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিল লালতির।