সংক্ষিপ্ত
'দ্যা ডায়েরি অব ওসেস্ট বেঙ্গল'র পরিচালক জানিয়েছেন তিনি আইনি নোটিশ পেয়েছেন। তাঁরে ৩০ মে থানায় ডাকা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে।
'দ্যা কেলারা স্টোরি' বিতর্ক এখনও অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কলকাতার জল ঘোলা হতে শুরু করেছে 'দ্যা ডায়েরি অব ওয়েস্ট বেঙ্গল' নামের ছবিটি নিয়ে। এখনও মুক্তি পায়নি। শুধুমাত্র ট্রেলারই মুক্তি পেয়েছে। তাতেই পরিচালকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ শুরু হয়ে গেছে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে চলচ্চিত্র প্রযোজনক ও পরিচালাক সনোজ মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। 'দ্যা পশ্চিমবঙ্গ ডায়েরি'র যে ট্রেলার সম্প্রতি রিলিজ হয়েছে তাদের গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার কথাই প্রচার করা হয়েছে। আর সেই কারণে আমহার্স্টস্ট্রিট থানায় পরিচালক সনোজ মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁকে আগামী ৩০ মে মামলার তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ছবির পরিচালকের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান হয়েছে।
অন্যদিকে 'দ্যা ডায়েরি অব ওসেস্ট বেঙ্গল'র পরিচালক জানিয়েছেন, 'আমাদের কাছে আইপিএস ধারা আইপিসি 120B/153A/501/504/505/295A ধারা 66D/84B তথ্য প্রযুক্তি আইন' ২০০০ এবং ধারা 7, সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্ট' ১৯৫২ সহ পঠিত একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং একটি আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে।'কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে নোটিশ পেয়ে পরিচালক জানিয়েছেন, তিনি আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবেন। দ্রুত তিনি শহরে ফিরবেন।
অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সনোজ মিশ্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩০ মে থানায় তলব করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির 120B ধারা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, 153 A (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা), 501 (মানহানিকর বিষয়), 504 (ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান), 505 (জনসাধারণের দুষ্টুমি) 295 A (ধর্মীয় অনুভূতিতে আক্রোশ) মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের দাবি সিনেমার ট্রেলারে বাংলায় রোহিঙ্গা ও উগ্র বাংলাদেশীদের অভিবাসন ও বসতি ও সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার কথা বলা হয়েছে। যদিও পরিচাল জানিয়েছেন পোস্টারে মহিলার ছবি দেখান হলেও তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও মিল নেই। মমতাকে নিয়ে এই ছবি তৈরি হয়নি।
তবে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূল মেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ছবিটি এমন মানুষরা তৈরি করেছে যারা ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে আলাদা করতে চায়।ঘৃণা ও মিথ্যা ছড়াতে চায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতী নষ্ট করেতে চায় বাংলার। অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ছবি নিয়ে এফআইআর দায়েরই প্রমাণ করে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার চায় না সত্য সামনে আসুক। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গেপ ঘটনা সম্পর্কে আসল সত্য গত সাত আট বছর সীমান্ত অঞ্চল ও রাজ্যের কিছু অঞ্চলে জনসংখ্যার পরিবর্তনের কথাই তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে।
আরও পড়ুনঃ
NITI Aayog: 'দায়িত্বজ্ঞানহীন ও জনবিরোধী', নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করায় মমতাদের তোপ বিজেপির
'কিছু পুলিশ অফিসার ঘুষ খায়', রাজ্য পুলিশের সমালোচনায় অর্জুনের সুর সৌগতর গলায়