সংক্ষিপ্ত
আরজি কর হাসপাতালে বুধবার রাতে ভাঙচুরের ঘটনায় আবার কাঠগ়ড়ায় বামেরা। শনিবার কলকাতা পুলিশ তলব করেছে সিপিএম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই -র রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। লালবাজার সূত্রের খবর আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তলব করা হয়েছে সিপিএম নেত্রীকে। যদিও এই বিষয়ে এখনও মীনাক্ষী কিছুই জানাননি। তবে সিপিএম সূত্রের খবর যাদের যাদের তলব করা হবে তারা হাজিরা দেবে।
সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, তাঁরা এখনও কলকাতা পুলিশের কোনও নোটিশ পাননি। তবে যদি তলব করা হয় তবে নিশ্চিয় মীনাক্ষী যাবেন। তিনি আরও বলেন, সবে শুরু। যারা যারা আরজি কর ইস্যুতে আন্দোলন শুরু করেছে তাদের প্রত্যেককেই পুলিশ তলব করবে।
চিকিৎসক তরুণীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচিতে দুর্দান্ত সাড়াও পড়েছিল। কিন্তু এই কর্মসূচির মধ্যেই আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। মধ্যরাতে আরজি কর হাসাপাতালের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে একদল দুষ্কৃতী। তারা হাসপাতালের তিন তলা পর্যন্তু উঠে গিয়ে তাণ্ডব চালায়। হাসপাতালের ভিতরের পুলিশ ফাঁড়ি ভেঙে দেয়। আন্দোলনকারী চিকিৎসক ও কর্তব্যরত পুলিশদের মারধর করে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। হামলাকারীদের দ্রুত খুঁজতে কলকাতা পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ারও সাহায্য নিচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যাদের পাকড়াও করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর হাসপাতালে ভাঙচুর আর তাণ্ডবের সময় সেখানেই ধর্নায় বসেছিলেন মীনাক্ষীরা। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন হামলার ঘটনায় রাম-বাম ( বিজেপি আর সিপিএম)এর হাত রয়েছে। ডিওয়াইএফআই ও জাতীয় পতাকা হাতে হামলা করা হয়েছে। যদিও মীনাক্ষী আগেই জানিয়েছেন, তাদের দলের পতাকা শুধুমাত্র দলীয় কার্যালয়েই পাওয়া যায় এমনটা নয়, বড়বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।