সংক্ষিপ্ত
একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকে হাতে হাত ধরে চলছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনেও যার অন্যথা হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনে দু'টি দলই একটিও আসন পায়নি। সেখানে লোকসভায় তাও কংগ্রেস একটি আসন পেয়েছে। এমত অবস্থায় আগামী দু'বছর পর রাজ্যের একবার বিধানসভা ভোট। সেই ভোটেও কি বাম-কংগ্রেস জোট একসাথে লড়বে?
অনেকে মনে করছেন, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বদলে শুভঙ্কর সরকারকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করে সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা জোড়া বার্তা দিতে চাইলেন। এক, অতিরিক্ত তৃণমূল বিরোধিতা চলবে না। দুই, সিপিআইএমের সঙ্গে এই গাঁটছড়ার নিট ফল শূন্য। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক 'মসৃণ' হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে পারে সিপিআইএম। যদিও বামেরা এখনও কংগ্রেসকে নিয়ে সরাসরি কোনও কটাক্ষ করতে চাইছে না।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভঙ্কর সরকার জানিয়েছেন, "আমরা একই সঙ্গে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরোধী। বামেদের সঙ্গে কি হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে দল। আমরা গতদিন পর্যন্ত বামেদের সঙ্গে ছিলাম। বামেদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে প্রচার করেছি। তবে এটুকু বলতে পারি এখন রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে আগামী দিনে যদি নাগরিক সমাজ নির্বাচনে লড়তে চায়, তাহলে তো আমাকে নাগরিক সমাজকে সমর্থন করতেই হবে। পরিস্থিতি যেটা চাইবে আমি সেই সিদ্ধান্ত নেব।"
বাংলায় অধীর যুগ অতীত! প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হয়েছেন শুভঙ্কর সরকার। মনে করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচক ছিলেন বলেই অধীরকে সরিয়ে দিল হাই কমান্ড। সেই তুলনায় শুভঙ্কর মমতার প্রশ্নে অনেকটাই 'নরমপন্থী'। তবে এর পরের সিদ্ধান্তগুলো কী নেওয়া হতে চলেছে, সেদিকে নজর সকলের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।