সংক্ষিপ্ত

বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট থেকে শনিবারও বেরোবে না সেই সাদা অ্যাম্বাসডর। সম্ভবত ভোট দিতে যেতে পারবেন না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট থেকে শনিবারও বেরোবে না সেই সাদা অ্যাম্বাসডর। সম্ভবত ভোট দিতে যেতে পারবেন না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

রাস্তায় নেমে রাজনীতি থেকে তিনি এখন বহুদূরে। শারীরিক অসুস্থতা বাধ সেধেছে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে। কিন্তু সময় পেলেই নেন খোঁজখবর। কয়েকমাস আগে হাসপাতাল থেকে ফেরার পর, এখনও পর্যন্ত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে বুথে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।

তাই শনিবারও সম্ভবত ভোট দিতে যেতে পারবেন না তিনি। গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শেষবারের জন্য বুথে গিয়ে ভোট দেন বুদ্ধবাবু। সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে না থাকলেও আজও বাম কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে যেন ‘বুদ্ধবাবু’ মানেই একটা আলাদা আবেগ কাজ করে। শেষবার তিনি যখন বাম ব্রিগেডে এসেছিলেন, তখনও সেই একইরকম উচ্ছ্বাস দেখা গেছিল বাম কর্মীদের মধ্যে।

একটা সময় ব্রিগেডের মঞ্চে তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকতেন সমর্থকরা। চেনা ঢঙে তিনি হাত নাড়লেই যেন জেগে উঠত গোটা ব্রিগেড। তবে শেষবার ব্রিগেডে গাড়ি থেকে নামতে না পারলেও, হাত নেড়ে সমর্থকদের বার্তা দিয়েছিলেন বামফ্রন্ট সরকারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

কিন্তু যত দিন গেছে, ততই যেন শারীরিক অসুস্থতা গ্রাস করেছে তাঁকে। শরীরে মরচে পড়লেও, জনপ্রিয়তা কমেনি এতটুকু। তাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সিপিআই(এম) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধবাবুর অডিও বার্তা সামনে আনে। সেই বার্তায় তিনি ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক দলের সমস্ত প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যেখানে থাকেন সেই বালিগঞ্জ বিধানসভা বাস্তবে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আর সেই কেন্দ্রে এবার সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। তিনি নিজেও দেখা করে আসেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। বাম প্রার্থীকে শুভেচ্ছাও জানান বুদ্ধবাবু। অন্যদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর রাজনৈতিক ট্র্যাক রেকর্ডও যথেষ্ট শক্তিশালী।

সিপিআই(এম) প্রার্থী হিসেবে টানা পাঁচবার যাদবপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে জেতেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বড় দায়িত্ব পালন করেছেন বুদ্ধবাবু। গত ২০১১ সালে পালাবদলের পর ধীরে ধীরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান তিনি। আর সেইসঙ্গে, তাঁকে গ্রাস করে শারীরিক অসুস্থতা।

বুদ্ধবাবুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তিনি আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আশি বছর বয়সে পা দিয়েছেন তিনি। তাই বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার মতো শারীরিক পরিস্থিতি এইমুহূর্তে নেই তাঁর।

তাই শনিবারও সম্ভবত ভোট দিতে যেতে পারবেন না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।