সংক্ষিপ্ত

লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হতেই শুরু রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। যাদবপুরে সিপিএম-এর পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হতেই শুরু রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। যাদবপুরে সিপিএম-এর পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার, সকাল থেকেই শুরু হয় লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গোনার কাজ শুরু হয়। তারপর ইভিএম মেশিন কাউন্টিং-এর কাজ শুরু করেন ভোটকর্মীরা। আর যতই রাউন্ড এগোতে থাকে, ততই যেন পরিষ্কার হতে থাকে ছবিটা। এ রাজ্যে কার্যত একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে জয় তৃণমূলের।

পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টিই ঘাসফুল শিবিরের দখলে। যাদবপুরেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ রেকর্ড ভোটে জয় পেয়েছেন এই কেন্দ্র থেকে। বিজেপি দ্বিতীয় এবং বামেরা রয়েছে তৃতীয় স্থানে।

আর এবার তাদেরই পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। সিপিএম-এর অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে গণনা চলাকালীনই যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত বাঘাযতীনের কাছে একটি পার্টি অফিসে হামলা চালায় তৃণমূল। মূলত, এই পাটি অফিসটি ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে।

বামেদের অভিযোগ, পার্টি অফিসের তালা ভেঙে হামলা চালানো হয়েছে। ছেঁড়া হয়েছে পোস্টার এবং ফ্ল্যাগ। তাদের কথায়, বাইরে ফেলে দেওয়া হয় চেয়ার এবং ভাঙা হয় আলমারি। গোটা পার্টি অফিস তছনছ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার আগেই যেভাবে নানা এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছিল, মঙ্গলবার ফলপ্রকাশের পর পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছবে সেই নিয়ে আগে থেকেই চিন্তায় ছিল প্রশাসন। তাই ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখারও সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সেইসঙ্গে, প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার।

কিন্তু এইসবকিছুর মাঝেই আরও একবার রাজনৈতিক হামলার ঘটনা ঘটল যাদবপুরে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।