সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের প্রায় সব ঘাটেই হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা যায় এদিন। এই পরিস্থিতিতে পুজোর শুরুতেই যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও বিশেষ জোড় দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

মহালয়া মানেই বাঙালির পুজো শুরু। পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের সূচনা দিয়েই পুজোর বাতাসে ভেসে আসতে শুরু করে ঢাকের বাদ্দি। মহালয়ার ভোর মানেই বিরেন্দ্র কৃষ্ণভদ্রর গলায় মহিষাসুরমর্দিনী। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলে তর্পণ। দেবীর চক্ষুদান দিয়েই শুরু হয় পুজোর আমেজ।

প্রতি বছরের মতো এবারও গঙ্গার একাধিক ঘাটে তর্পণের জন্য ভিড় করতে দেখা গেল সাধারণ মানুষ। হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাট, শিবপুর ঘাট, তেলকল ঘাট, বাদামতলা ঘাট- কলকাতার দইঘাট, বাবুঘাট, বাজেকদমতলাঘাট, আহেরিটোলা ঘাটে ভোর রাত থেকেই ভিড় জমাচ্ছে পুণ্যার্থীরা। রাজ্যের প্রায় সব ঘাটেই হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা যায় এদিন। এই পরিস্থিতিতে পুজোর শুরুতেই যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও বিশেষ জোড় দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

নিরাপত্তায় কী কী বিশেষ ব্যবস্থা?

  • ঘাটগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মহালয়ার আগেই একাধিক বৈঠক করেছে পুলিশ প্রশাসন। পরিষ্কারও করা হয়েছে ঘাটগুলো।
  • মহালয়ার দিন ভোর রাত থেকে মোতায়ন করা হয়েছে নিরাপত্তা কর্মী। ঘাটের পাশেই রয়েছে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প।
  • কোনও রকমের অঘটন যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে দড়িতে প্লাস্টিকের বল, বেলুন বেঁধে বানানো হয়েছে।
  • এদিন ভোর থেকেই চলছে মাইকিং। এছাড়া ঘাটে ঘাটে চলছে পুলিশের নজরদারি।
  • নদীতে স্পিড বোট এবং লঞ্চ থেকে নজর রাখছে জলপুলিশ।
  • কোনও রকমের সমস্যার মোকাবিলাকরতে প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
  • মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও।