- Home
- West Bengal
- Kolkata
- কীভাবে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের কালোবাজারি করতেন সন্দীপ ঘোষ? জানুন এই বর্জ্য মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর
কীভাবে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের কালোবাজারি করতেন সন্দীপ ঘোষ? জানুন এই বর্জ্য মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর
| Published : Aug 25 2024, 10:11 AM IST / Updated: Aug 25 2024, 10:12 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট
আরজি কর হাসপাতালে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য আলাদা করার ব্যবস্থা প্রায় ছিলই না। বায়োমিডেক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অনোমোদনের মেয়াদও শেষ হয়েছিল ২০১২ সালে। কিন্তু তার পরে আর কেনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জীবাণুনাশক ছিল না
জীবাণুনাশক ছিল না
পর্যদের রিপোর্টে বলা হয়েছে হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ডে জীবাণুনাশক ও নিডল কাটার ছিল না। যার অর্থ রোগীজের জীবন নিয়ে খেলা চলছিল আরজি করে।
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কী
যা মানুষ বা প্রাণীর রোগ নির্ণয়, চিকিত্সা বা টিকাদানের সময় বা এর সাথে সম্পর্কিত গবেষণা কার্যক্রম বা জৈবিক উৎপাদন বা পরীক্ষার সময় বা স্বাস্থ্য শিবিরে তৈরি হয়।
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের ক্ষতি
বিপজ্জনক বায়োমেডিকাল বর্জ্যের সংস্পর্শে এলে মানুষের নানা ধরনের রোগ হয়। এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং সি হল চিকিত্সা বর্জ্যের অনুপযুক্ত ব্যবহারের কারণে বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ছড়িয়ে পড়া তিনটি ভাইরাস। এগুলি দূষিত সিরিঞ্জ এবং সূঁচ থেকে ছড়ায় বলেও আশঙ্কা।
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নষ্ট করার উপায়
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা রাসায়নিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। একটি নির্দিষ্টস্থানে জড়ো করতে হবে।
প্রশ্নে আরজি কর
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে নূন্যতম নিয়ম মানা হত না আরজি কর হাসপাতালে- তেমনই অভিযোগ হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের। সেখানে একই স্যালাইন বোতল বারবার ব্যবহার করা হত। যা একবার ব্যবহারের পরে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দেওয়ার কথা।
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখরাত আলির অভিযোগ সন্দীপ ঘোষ বেআইনি ভাবে হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি করতেন। এই নিয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
বায়োমেডিক্যালের কালোবাজারি
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের কালোবাজারি রয়েছে। সেখানে প্রচুর দামে বিক্রি হয় ব্যবহৃত হয় বর্জ্য। সন্দীপ সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।
সন্দীপের বিরুদ্ধে ১৫টি অভিযোগ
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের বেইআনি কারবার ছাড়াও ছাত্রদের থেকে টাকা তোলা, হাসপাতালে বেআইনি পার্কিং ব্যবস্থা চালু করা -সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরই প্রাক্তন সহকর্মী।
সন্দীপের বাড়িতে সিবিআই
টানা ৯ দিন জেরার পরে রবিবার খুব সকালেই সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তবে দীর্ঘক্ষণ বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তারপরই দরজা খোলোন আরজি করের প্রাক্তন সুপার।