সংক্ষিপ্ত
প্রশাসনকে কাটমানি আটকানোর জন্য কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি জমি দখল নিয়েও রাজ্য সরকারের কড়া মনোভাব দেখা গিয়েছে। সরকারি জমি বেহাত হয়ে গিয়েছে! এই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা।
কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দখলদারি মানব না, স্পষ্ট বলে দিলেন তিনি। এরই সঙ্গে তাঁর বার্তা সরকারি জমি বেহাত হয়ে গিয়েছে-এই কথা কোনও ভাবেই আর বরদাস্ত করতে চান না তিনি। লোকসভা ভোট মিটেছে। এবার প্রশাসনিক বৈঠকে মন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের নানান জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার নবান্নে এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সরকারি ভবনেই প্রশাসনিক বৈঠক করব’।
প্রশাসনকে কাটমানি আটকানোর জন্য কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি জমি দখল নিয়েও রাজ্য সরকারের কড়া মনোভাব দেখা গিয়েছে। সরকারি জমি বেহাত হয়ে গিয়েছে! এই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা। এমনকি প্রশাসনিক বৈঠকেই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, প্রশাসনিক বৈঠকে খরচ নিয়ে খানিক অসন্তুষ্ট দেখায় মমতাকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা হেলিকপ্টার নামল না, এর জন্য ২ কোটি টাকা খরচ! এরপর কাটমানি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকি বালি পাচার, কয়লা পাচারের মতো বিষয় আটকাতেও কড়া তৃণমূল নেত্রী।
তবে শুধু সরকারি জমি দখলই নয়, সরকারি জমির চরিত্র বদলের অভিযোগও এসেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই নাকি নবান্নে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে বলে খবর। এমনকি খাস কলকাতাতেও সরকারি জমি বেহাত হওয়ার অভিযোগ এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এসেছে অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলেন, ‘দখলদারি মানা হবে না। প্রশাসনিক আধিকারিকদের ঠিকভাবে নিজেদের কাজ করতে হবে’। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙরে সরকারি জমি দখল করার অভিযোগ ওঠে। সেই বিষয়টি নজরে পড়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি এই বিষয়েও কথা বলেন বলে খবর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।