সংক্ষিপ্ত
আরজি করকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে নিয়ে পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে মৌলাসি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা বিধায়ক ও সাংসদরা। মমতার সঙ্গে মিছিলে ছিলেন, মহুয়া মৈত্র, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, রচনা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়সহ প্রথম সারির তৃণমূল নেত্রীরা। দোষীদের ফাঁসি চাই- এই স্লোগান তোলা হয়।
মিছিলেন শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বক্তব্য রাখেন। সেখানেই তিনি বলেন, 'দোষীদের শাস্তি চাই। শাস্তি নয়, ফাঁসি চাই। তাড়াতাড়ি বিচার চাই।' মমতা তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, সমাজমাধ্যমে সব সংবাদ সত্য নয়। সাইবার ক্রাইম বড় অপরাধ। অনেকেই পয়সা কামানোর জন্য রাজনীতি করার জন্য টাকা নিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম করেছে। মিথ্যা ঘটনা বানিয়েছেন। এদিন মমতা সরাসরি এইআই প্রযুক্তির দিকে আঙুল তোলেন। বলেন এআই প্রযুক্তির দিকে আঙুল তোলেন।
মমতা এদিন তাঁর বক্তব্যে উন্নাও, হাথরসের ঘটনা তুলে ধরেন। বলেন, রাজভবনে হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদ করেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আরজি কর নিয়ে আন্দোলন হয়। এদিন মমতা রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের পাশে দাঁড়ান। বলেন, পুলিশকে তদন্তের জন্য সময়ে বেঁধে দিয়েছিলেন। নিহত নির্যাতিতার বাড়িতেও তিনি গিয়েছিলেন । তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার- তাও জানিয়েছেন মমতা। আন্দোলন নিয়েও এদিন মমতা বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সব দাবি মানা হয়েছে। ডগ স্কোয়াড গিয়েছে, ভিডিয়োগ্রাফি করে ময়নাতদন্ত হয়েছে। তিনি বলেন, দেহ যখন বাড়িতে পৌঁছতে যাচ্ছিল, এক বিজেপি নেত্রী মাঝপথে বাবা-মাকে নামিয়ে দেন। পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। আমি রাত জেগে খোঁজ নিয়েছি। আমি রাজনীতি করলেও এমনটা করি না। ঘটনায় জ্বলে যাচ্ছিলাম।
এদিন মমতা মণিপুর নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। বলেছেন, মমতা বলেন, 'আমরা ভোটেজিতে এসেছি। নির্বাচন কমিশন সেই ভোট পরিচালনা করেছেন। আমি বাংলাদেশ নিয়ে কা বলতে পারি না। বলিও না। গেশের বিষয়। কিন্তু আমরা ভদ্রতা করব। আপনারা নয়! আমরা সামলান। ' মমতা বলেন, তারা কামদুনিতে দুজনকে ফাঁসি দিয়েছি। ধনঞ্জয়েরও ফাঁসি হয়েছে। কিন্তু আসলে লোকের ফাঁসি হয়েছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন।
মমতা বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম বাবা-মাকে, আমরা দোষীদের শাস্তি দেব। রবিবার পর্যন্ত সময় দিন। নয়তো সিবিআইকে দিয়ে দেব। সিপিএম, বিজেপি, আপনারা অপেক্ষা করতে পারতেন! পরিবারকে দোষ দিই না। আপনারা সময় দিলেন না। হাসপাতালের এভিডেন্স নিতে সময় লেগেছে। এগুলো বাইরে বলা যায় না। দোষী নিজের মতো ব্যবস্থা নিতে পারে। আপনারা রাজনীতি করলেন। আমি এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।’’ এদিন মমতা বলেন, 'আমি যত শান্ত থাকি, আপনাদের মঙ্গল!আমাকে আঘাত করলে আমি হয়ে যাই টর্নেডো, সাইক্লোন। নিজেকে কেয়ার করি না। আমি মানুষকে কেয়ার করি।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।