Bus Fire: দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরের রাস্তায় দাউ দাউ করে জ্বলছে বাস। কোথায় ঘটল এমন ঘটনা? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Kolkata Bus Fire: শহর কলকাতায় ফের চলন্ত সরকারি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। সোমবার বাগুইহাটির জোড়া মন্দিরের অদূরে ভিআইপি রোডের উপরে চলন্ত সরকারি বাসে আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলে দমকলের আধিকারিকরা পৌছন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সূত্রে খবর, এয়ারপোর্টের দিকে বাসটি যাচ্ছিল এবং এই ঘটনা কোন হতাহতের খবর নেই। তবে কী কারনে আগুন লাগলো তা খতিয়ে দেখছে দমকল।

অন্যদিকে, এবার বালি পাচার মামলায় সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সপ্তাহের প্রথম দিনেই কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় হানা দিল ইডি। ইডির সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সোমবার ভোরে প্রায় একই সময় একই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। সোমবার ভোররাত থেকেই তল্লাশি চলছে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে। শেখ জহিরুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। একই সঙ্গে তল্লাশি চলছে উত্ত ২৪ পরগনা, নদিয়ার কয়েকটি এলাকায়।

বালি পাচারকাণ্ডে কলকাতা যোগও রয়েছে। কলকাতার বেহালার একাধিক এলাকায় ইডি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়াও সল্টলেক, রিজেন্ট পার্ক, টালিগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতিনিধি দল। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের বাসিনা জাহিরুল শেষ বালির কারবারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই যুক্ত। তারা বালি খাদানও রয়েছে। জানা গিয়েছে আগে তিনি ভিলেজ পুলিশ ছিলেন। সেই চাকরি ছেড়ে পরবর্তীকালে তিনি বালির কারবার শুরু করেছেন। সুবর্ণরেখা নদীর তীরে তিন তলা অট্টালিকাসম বাড়ি তার। সেখানেই তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ উঠেছে বেআইনিভাবে বালি তোলা হচ্ছে। যার কারণে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। এই নিয়ে একাধিক মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। তাতেই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইডির ৪-৫টি দল একই সঙ্গে তল্লাশি চালাচ্ছে।

বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। এবার সেই পাচারকাণ্ডের তদন্তেই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ জন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক ২২টি দলে ভাগ হয়ে কলকাতা-সহ একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রের খবর, বৈধভাবেই লিজ নেওয়া বালি খাদান থেকেই বেআইনিভাবে তোলা হত অতিরিক্ত বালি। তা অবৈধভাবে পাচার করা হত। তদন্তকারী সূত্রের খবর, বালি পাচারে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। তা একাধিক সংস্থার মাধ্যমে বেআইনিভাবে বিনিয়োগ করা হত। কালো টাকা সাদা করা হত। কিন্তু কীভাবে কোথায় দিয়ে এই অবৈধ লেনদেন হত তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।