সংক্ষিপ্ত
চৌঠা জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'যে আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের কাছে এই তদন্তের ভার দেওয়া উচিত হবে না।' সাতই জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করে বিরোধীরা। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা বলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’ একই সঙ্গে বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ যে, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের।
এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের নাম কেন নেই এই প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আইএসএফ এবং বামফ্রন্ট। হাইকোর্টের কাছে তাদের অভিযোগ ছিল, মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি, স্ক্রুটিনির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রার্থীদের নাম কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গেই মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার কথাও শুনানিতে টেনে আনেন মামলাকারীরা।
বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের কাশ্মীরা বিবি, ওমজা বিবির মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে ওই বিডিও-র বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, একটি নির্বাচন ঘিরে যেভাবে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে, তা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’
নির্বাচন ঘিরে যদি রক্তপাত আর হিংসা চলতে থাকে, তবে সেই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত, বুধবার এমনই মন্তব্য করে কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছিলেন বিরোধীদের একাংশ। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা বলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’