সুবল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা। দিক কয়েক আগেই বছর ৩৫এর এই চাকরিহারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রথমে ভর্তি করা হয়েছিল ডেবরা হাসপাতালে। 

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসি-র পুরো প্যানেলই। তাতে চাকরি হারিয়েছে রাজ্যের প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। তালিকায় রয়েছে যোগ্য ও অযোগ্য চাকরি প্রার্থীরা। সম্প্রতি কলকাতার বাইপাসের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে প্রতিবাদী সুবল সোরনের। তিনি নিয়োগ দুর্নীতি আন্দোলনের ও চাকরিহারাদের আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। তার মৃত্যুতে ফের আঙুল উঠেছে রাজ্য সরকার ও দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর।

সুবল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা। দিক কয়েক আগেই বছর ৩৫এর এই চাকরিহারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রথমে ভর্তি করা হয়েছিল ডেবরা হাসপাতালে। পরবর্তীকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে আসা হয় বাইপাসের একটি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় সুবলের। সুবলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ আন্দোলনকারী। তাদের দাবি সুবলের ব্রেনস্ট্রোক হয়েছে। তিনি চাপ নিতে পারছিলেন না। সেই কারণে এইভাবে অকালে মারা যান।

ডেবরার বাসিন্দা হলেও কলকাতার রাজপথে প্রায় সব আন্দোলনেই থাকতেন সুবল। আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের সক্রিয় সদস্য ছিলেন সুবল। ডেবরা থেকে ধামসা, মাদল নিয়ে চলে আসতেন আন্দোলনের মঞ্চে। শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের অন্যতম নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, 'সরকার, বিচারব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র চক্রান্ত করে হত্যা করেছে সুবলকে।' আজকের স্বাধীনতা দিবসে আমরাই পরাধীন।'যদিও সরকার এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।