সংক্ষিপ্ত
ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) মামলায় বড় ধাক্কা খেল রাজ্য। বাতিল হয়ে গেল সার্টিফিকেট। প্রকাশ্যে এল এমনই তথ্য। এর আগে ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) মামলায় সময় চেয়েছিল রাজ্য সুপ্রিম কোর্ট। বাংলার ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) মামলার শুনানিতে জবাব দেওয়ার জন্য রাজ্যের হয়ে আরও কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে হল তার শুনানি। শীর্ষ আদালত জানায়, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে কারও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।
২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় ভুক্তদের দেওয়া সব শংসাপত্র বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৭৭টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ওবিসির তালিকাভুক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় ৫ লক্ষ সার্টিফিকের বাতিল হয়ে যায়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালাতে আবেদন করেছিল রাজ্য।
এদিন রাজ্যের হয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতকে বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে মোট ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। বাংলায় মোট বাসিন্দার ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু। যার মধ্যে ২৭ শতাংশ মুসলিম। রঙ্গনাথ কমিশন মুসলিমদের সংরক্ষণের সুপারিশ করেছিল। হাই কোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশের একটি রায়কে ভিত্তি করে ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে এদিকে সেই রাজ্যেই ওই রায় স্থগিত রয়েছে। এরপরই জাস্টিস বিআর গাভাইয়ের পর্যবেক্ষণ, ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।
সিব্বল বলেন, পিছিয়ে পড়া অংশকে সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মুসলিম ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও আছে। যদিও রাজ্যের তৈরি সংরক্ষণের তালিকা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে জাস্টিল কেভি বিশ্বনাথনের প্রশ্ন, কোনও কমিশন গঠন করা হয়নি। এক্ষেত্রে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করতে পারে?
সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, হাই কোর্ট বলেছে শ্রেণিবিন্যাস করে রাজ্য বিধানসভায় সেই তথ্য পেশ করুক। রাজ্য নিজের ক্ষমতায় তা করতে পারবে না? এদিন হাই কোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হলেও রাজ্যের আবেদনে সায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আপাতত এই মামলায় কোনও নির্দেশ তারা দেবে না। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।