সংক্ষিপ্ত

দুলাল সরকার বিক্ষোভকারীদের সিপিএম-বিজেপি বলে রাস্তায় ফেলে মারধর দেওয়ার হুমকি দেন

আরজি কর মামলার প্রতিবাদে রাতারাতি অবস্থানকারীদের হুমকি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের আরেক নেতা। মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের পর এবার হুমকি মালদায় তৃণমূলের সহ-সভাপতি! সিপিএম-বিজেপি বলে বিক্ষোভকারীদের মারধরের হুমকি দেন দুলাল সরকার। তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, মন্ত্রী উদয়ন গুহ, বিধায়ক লাভলী মৈত্র থেকে শুরু করে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অতীশ সরকার, একের পর এক তৃণমূল নেতা বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিয়েছেন।

তৃণমূলের আরজি কর কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। মালদা তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সী ও সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বিক্ষোভকারীদের সিপিএম-বিজেপি বলে রাস্তায় ফেলে মারধর দেওয়ার হুমকি দেন। ইংরেজবাজারে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে গতকাল আয়োজিত সভায় দাঁড়িয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের দুই শক্তিশালী নেতা।

৪ সেপ্টেম্বর রাতে দখলদারি কর্মসূচি চলাকালে তৃণমূলের পতাকা উত্তোলন ও নিক্ষেপের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর মালদা তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি দুলাল সরকার। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'রাতের আন্দোলন, ছাত্র যুব আন্দোলনের নামে যারা তৃণমূল কংগ্রেসকে পেছন থেকে আক্রমণ করার জন্য পতাকা ওড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বিশেষ অভিযোগ রয়েছে। আমি তাদের প্রত্যেককে রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখতে পারি। কিন্তু আমাদের ছোট ভাই-বোনেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা পাচ্ছে না, তাই আমরা সে কাজ করছি না।'

কিছু মাতাল, যারা সিপিএমের পতাকায় মত্ত, তারা বিজেপির পতাকার নেশায় মত্ত। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং আরজি কর কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসা একদল বিক্ষোভকারীর উপর হামলা চালান। প্রথমে দেখা দরকার কেন তিনি এমন বললেন। পাল্টা জবাব দিল বিজেপি। সিপিএমও জবাব দিয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ও জেলমন্ত্রী বলেন, 'বাংলার মানুষ কিছু মাতালকে ক্ষমা করবে না, যারা সিপিএমের পতাকা নিয়ে, বিজেপির পতাকা নিয়ে নেশা করে।'

তিনি আরও বলেন, 'যারা আন্দোলনের নামে গুন্ডামি করে, যারা আন্দোলনের নামে মদ খায় এবং যারা আন্দোলনের নামে নারীদের স্পর্শ করতে দেয় তাদের বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নেতৃত্বে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখন বাংলায় নতুন হুমকি আনতে চাইছে সিপিএম-বিজেপি।