সংক্ষিপ্ত

জয়েন্ট ডক্টর ফোরামেরস ও ৫৫ টা সামাজিক সংগঠন একসঙ্গ কলকাতার রাজপথে নামতে চলেছে আগামী ১ অক্টোবর কলেজ স্কয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মহা মিছিল হবে

 

আরজি কর ইস্যুতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার রেশ থাকবে পুজোতেও। কারণ নতুন করে আবারও বড় কর্মসূচি ঘোষণা করল জয়েন্ট ডক্টর্স ফোরাম ও ৫৫টি সমাজিক সংগঠন। এবার তারা যৌথভাবে কলকাতার রাজপথে নামছে। আরজির করের তরুণী চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে আবারও মুখর হবে তিরোত্তমার রাজপথ। পুজোর দিনগুলিতেও প্রতিবাদ চলবে বলেও যৌথভাবে জানিয়ে দিয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ১ অক্টোবর ১ লক্ষ্য নিয়ে ১ লক্ষ মানুষ রাজপথে নামতে চায়।

কর্মসূচিঃ

জয়েন্ট ডক্টর ফোরামেরস ও ৫৫ টা সামাজিক সংগঠন একসঙ্গ কলকাতার রাজপথে নামতে চলেছে আগামী ১ অক্টোবর কলেজ স্কয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মহা মিছিল হবে এক লাখ লোক সমাগম হবে এই মিছিলে, দাবি সংগঠনগুলির, মূল বিষয় অভয়ার বিচার । একই সঙ্গে হাসপাতালে চলা হুমকি সংস্কৃতির প্রতিবাদও জানান হবে। উদ্যোক্তাদের কথায় রাজ্যের সাধারণ মানুষরাও এর শিকার। কারণ চিকিৎসার মান নেমে যাওয়ার কারণে তাদেরও ক্ষতি হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের কথায় আইনের শাসন রাজ্যে নেই। নিরাপত্তার সকলের জন্য জরুরি। নিরাপত্তার দাবিতেও তাঁরা পথে নামছেন।

এক চিকিৎসক জানিয়েছেন ২০১৭ সাল থেকে দেড় হাজারেরও বেশি চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। নিগ্রহের ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের অধিকাংশই শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাদের শান্তি দেওয়া হচ্ছে না। কর্মবিরতি নিয়ে শাসক দলের নেতাদের হুমকিরও তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরা। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। ১৯৯১ সালের পর থেকে সরকারি হাসপাতালে কোনও সমীক্ষা করা হয়নি। সমীক্ষা করা হয়নি, কতগুলি বেড, চিকিৎসক, নার্সের প্রয়োজন তা জানা যাচ্ছে না।

আগামী মহালয়ার দিন জুনিয়র ডাক্তাররাও মিছিল করতে চলেছে। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সেখানে একটি মহা সমাবেশ হবে। সেটাও জানিয়ে দিলেন, সেই সঙ্গে আগামী পুজোর দিনগুলিতে শ্যামবাজারে জয়েন্ট ডাক্তার ফোরামস পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদী মঞ্চ থাকবে সেখানে সকলকে আহ্বান করা হচ্ছে পুজোর দিনগুলোতেও আমরা প্রতিবাদে সামিল হব। এবং সকলে যাতে এই মঞ্চে এসে সামিল হতে পারে উৎসব ও হোক প্রতিবাদ হোক এটাই তাদের মূল বিষয় কেননা ডাক্তার ফোরামস এর পক্ষ থেকে জানানো হয় অভয়া বাড়ির নিচে গত দুবছর দুর্গাপূজার করে আসছে। কেননা তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় যে যদি তিনি ডাক্তারিতে চান্স পান তবে তিনি দুর্গাপূজা করবেন সেই মতো বিগত দুবছর থেকে করে আসছে কিন্তু অভয়ার মা-বাবা পরিষ্কার বলে দিয়েছে ঘরের দুর্গা বিসর্জন হয়ে গেছে। তাই আর দুর্গা পুজো করবো না। তাই শ্যামবাজারে দ্রোহের সমাবেশ হবে দুর্গাপূজার সময় কালে সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তাররা এই দ্রোহের সমাবেশে থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন।