সংক্ষিপ্ত

লেক খানায় এক IAS অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযুক্ত জামিন পাওয়ায় তদন্তে গাফিলতি এবং নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 

আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ৯ অগস্ট আরজি কর থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু ঘটনার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। সে কারণে তদন্তের ভার যায় সিবিআই-র হাতে। এবার ফের একবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত।

এবার লেক খানা এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। IAS অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা পুলিশকে র্ভৎসনা করল হাইকোর্ট। অভিযোগ উঠেছে যে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও তদন্তের ত্রুটির কারণেই অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গিয়েছে। আদালত পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে, থানার ওসি সহ পাঁচ জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

রাজ্যের বাইরে কর্মরত আইএএস অফিসারের স্ত্রীর নিরাপত্তা ও আইনের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্ত্রী। তিনি জানান যে ১৫ জুলাই তার ফাঁকা বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় এক পারিবারিক বন্ধু ঢুকে তাকে ভয় দেখিয়ে শারীরিক অত্যাচার করে। ঘটনার দিনই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং পুলিশ অভিযুক্ততে গ্রেফতার করে। কিন্তু, পরের দিন আদালত পুলিশি তদন্তে ত্রুটির জন্য সেই ব্যক্তিকে জামিন দিয়ে দেয়।

প্রাথমিক ভাবে সঠিক ধারায় এফআইআর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগ পত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠছে তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের। অভিযুক্তের পরিবার নিগৃহীতাকে থানায় বসিয়ে হুমকি দিচ্ছে এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেড নিয়েও কোনও তদন্ত হয়নি। এছাড়াও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নিগৃহীতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষাও করেনি পুলিশ, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের।