সংক্ষিপ্ত
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বেজায় অস্বস্তিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) এসএফআই সমর্থকরা। যাদবপুর কাণ্ডে এবার করা নির্দেশ আদালতের।
Jadavpur Incident: রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ল যাদবপুরের SFI। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ। যাদবপুরের (Jadavpur University) এসএফআই সমর্থক উদ্দীপন কুণ্ডুদের বেজায় বিপাকে ফেলল আদালত।
হাইকোর্টের পরিষ্কার নির্দেশ, তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। আর সেই তদন্তের স্বার্থেই মোবাইল চাইলেও দিতে হবে পুলিশকে। অর্থাৎ, পুলিশি তদন্তে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে, রাজ্যকে হলফনামা পেশেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আসন্ন এপিল মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশের এফআইএর-এ অভিযুক্ত উদ্দীপন কুণ্ডু, তাঁর বিরুদ্ধে মোবাইল না দেওয়ার নির্দেশ কীভাবে দেবে আদালত? এইরকমই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। যদিও মোবাইলের ডেটা কপি করে পুলিশকে দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানাতেই পারে এফআইআর-এ অভিযুক্তরা। সেই পর্যবেক্ষণও দিয়েছেন বিচারপতি।
বুধবার, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোনওরকম অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। পুলিশ যেমন তদন্ত চালাচ্ছে, ঠিক সেইরকমভাবেই চালিয়ে যেতে পারবে। কারণ, পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনৈক সেই ছাত্র । তাঁর অভিযোগ ছিল, পুলিশ তদন্তের নামে ডেকে তাঁকে নাকি হেনস্তা করছে। মোবাইল ফোন জমা দেওয়ার কথাও নাকি বলেছে। কিন্তু তাঁর সেই দাবি ধোপে টেকেনি আদালতের কাছে (Jadavpur University News)।
এদিন এই মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সেখানে উদ্দীপনের আইনজীবী দাবি করেন, মোবাইল একটি ব্যক্তিগত ডিভাইস। সেখানে অনেক পার্সোনাল তথ্যও থাকে সাধারণ মানুষের। সেগুলো পাবলিক করতে অবশ্যই আপত্তি আছে। সুপ্রিম কোর্টও যে মোবাইল ফোনকে ব্যক্তিগত ডিভাইস হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেই কথাও এদিন আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত জবাব দেওয়ার পরেও কেন অসন্তোষের কথা বলছে পুলিশ? হেনস্তা করতে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এইরকম করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। একজন ছাত্রের সঙ্গে কীভাবে এমন আচরণ করা যায়, সেই প্রশ্নও তোলেন অভিযুক্তের আইনজীবী।
সওয়াল শোনার পর বিচারপতি জানান, এফআইআরে আপনার মক্কেলের নাম রয়েছে এবং তিনি অভিযুক্ত। এই অবস্থায় কোর্ট কোনওভাবেই বিষয়টির মধ্যে ঢুকবে না। এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্ত একজন ছাত্র হলেও, তাঁকে কোনও রিলিফ দিলে তা খারাপ বার্তা বহন করবে। তবে পড়ুয়ারা যাতে সেই ফোন ফেরত পান এবং নতুন মোবাইল কিনতে না হয়, সেই বিষয়টি যাতে পুলিশ দেখে, তা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন বিচারপতি।
অন্যদিকে, দুই পক্ষকেই হলফনামা পেশ করতে বলেছে আদালত। এদিকে রাজনৈতিক সংগঠনগুলির তরফে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আপাতও বুধবার, সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।