সংক্ষিপ্ত
আরজি কর-কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা ১৩ ঘণ্টা জেরা করা হয় শনিবার। আজ , রবিবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে প্রথম রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয়েছিল। তারপর ফের জেরা করা হয় শনিবার। দুই দিনে তাঁকে মোট ২৩ ঘণ্টা জেরা করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর আজ সকাল ১১টায় সন্দীপকে তলব করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রের খবর শুক্রবার সন্দীপকে টানা ১০ ঘণ্টা জের করা হয়েছএ। তারপর ১৩ ঘণ্টা জেরা করা হয় শনিবার। এই অবস্থায় আজ ফেল তলব করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে সন্দীপের ওপর চাপ বাড়ছে। আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম থেকেই সন্দেহের তীর ছিল সন্দীপের ওপর। যা নিয়ে প্রথম দিন থেকেই সরব হয়েছিল অন্দোলনকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, হাসপাতালের একাধিক কর্মীকেই তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সন্দীপের বয়ানে অনেক ফাঁক রয়ে গেছে। তাই তাকে গ্রেফতারের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সূত্রের খবর, সন্দীপের কাছে সিবিআই জানতে চেয়েছে তিনি কীভাবে বা কী অবস্থায় প্রথম চিকিৎসক তরুণীর দেহ দেখেছিলেন। ছাত্রীর পরিবারকে প্রথমে জানান হয়েছিল তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কার নির্দেশে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার আত্মহত্যার কথা বলেছিল , তাও জানতে চেয়েছে সিবিআই।
অন্যদিকে আরজি কর-কাণ্ডে দিন যত যাচ্ছে ততই বিপাকে পড়ছেন সন্দীপ ঘোষ। এবার রাজ্য অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হল। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্দীপ নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখবে না সংগঠন। সংগঠনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্দীপের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখা হবে না। সংগঠনের কোনও কনভেনশনে যোগা দিতে পারবেন না। সংগঠন সম্পর্কে মন্তব্য করতে ও পরামর্শ দিতে পারবেন না চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ। তবে এখানেই শেষ নয়, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে তার অবস্থান কি ছিল তারও ব্যাখ্যা চেয়েছে সংগঠন। শনিবারই এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। কেপিসি হাসপাতালে বসেছিল এই সংগঠনের বৈঠক।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।