জোকা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউড অব ম্যানেজমেন্ট তরুণীরে ধর্ষণের ঘটনা মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার ১২৪/৬৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
জোকা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউড অব ম্যানেজমেন্ট তরুণীরে ধর্ষণের ঘটনায় তৎপর পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত পরমানন্দ জৈনকে। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও চার জন রয়েছে পুলিশের আতশ কাচের তলায়। ইতিমধ্যেই কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকে জেরা করা শুরু করেছে পুলিশ।
জোকা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউড অব ম্যানেজমেন্ট তরুণীরে ধর্ষণের ঘটনা মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার ১২৪/৬৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীকে জেরা করার কারণ নির্যাতিতা তরুণী অভিযোগ করেছিলেন ক্যাম্পাস ও হস্টেলে ঢোকার সময় অভিযুক্ত তাকে ভিজিটর্স বুকে নাম সই করতে দেননি। সেই কারণেই নিরাপত্তারক্ষীকে জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী কী করে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মনে করছে পুলিশের একাংশ। জোকার ম্যনেজমেন্ট কলেজটিতে ভর্তি হতে গেলে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়ে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়ারা সেখানে পড়াশুনা করে। এই কলেজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা যথেষ্ট কড়া। তাই নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে একজন বাইরের তরুণী কী করে কলেজের বয়েজ হোস্টেল পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারল তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তরুণী রেজিস্ট্রারেও সই করেনি। তাই কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে একাধিক তথ্য। পুলিশ সূত্রের খবর, এটাই প্রথম নয়, এর আগেও ওই তরুণীকে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। পুলিশের কাছে নির্যাতিতা যে অভিযোগ করেছেন তাতে তেমনই বলেছেন তরুণী। কর্মসূত্রেই এই পড়ুয়ার সঙ্গে কয়েক দিন আলাপ হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারের। কাউন্সেলিং সেশনের গন্তব্যে না গিয়ে ওই ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া তাঁকে ছেলেদের হস্টেলের দিকে নিয়ে যান। বলেন, একটা জরুরি জিনিস নিতে হবে। সেখানে গিয়ে তাঁকে পিৎজা খেতে দেন অভিযুক্ত ছাত্র। সঙ্গে যে পানীয় জল তাঁকে দেওয়া হয়, সেটি খেয়েই প্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তরুণী। পানীয় জলে মাদক মেশানো ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
নির্যাতিতা তরুণী সেখান থেকে বেরিয়ে ঠাকুরপুকুর থানায় যান। কিন্তু ওই ম্যানেজমেন্ট কলেজ হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত। তাই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ অ্যাকশন নেয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অভিযুক্ত পরমানন্দ জৈন। ম্যানেজমেন্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। অভিযুক্ত তরুণীর পূর্ব পরিচিত। তরুণী জানিয়েছেন, তাকে মাদক খাইতে ধর্ষণ করা হয়েছে।


