বেলেঘাটা বিধানসভা এলাকায় কর্মরত সাত জন বিএলও-কে কাজের গাফিলতির জন্য শোকজ নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনিউমারেশন ফর্মের তথ্য ডিজিটাইজেশনের প্রক্রিয়া ঢিমেতালে করার অভিযোগে তাদের শুক্রবারের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বেলেঘাটা বিধানসভা এলাকায় কর্মরত সাত জন বিএলও-কে শোকজ নোটিস দিল নির্বাচন কমিশন। এনিউমারেশন ফর্মের তথ্য ডিজিটাইজেশনের প্রক্রিয়া ঢিমেতালে করার জন্য পাঠানো হল শোকজ নোটিস। আজ শুক্রবারের মধ্যে তাদের কারণ জানিয়ে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন ঢিমেতালে কাজ হয়েছ, কেন কাজের মান কম রয়েছে, তা নিয়ে করা হয়েছে প্রশ্ন। যার উত্তর দিতে হবে আজ। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কড়া পদক্ষেপ নেবে কমিশন। জানা গিয়েছে এমনটাই।
সদ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও এলাকায় যত সংখ্যক এনিউমারেশন ফর্ম জমা পড়বে তার ৩০ শতাংশ ডিজিটাইজেশন করতে হবে। কিন্তু এই সাত জন বিএলও জমা নেওয়া ফর্মের মাত্র ৪ থেকে ৮ শতাংশ ডিজিটাউজেশন করেছে। ঢিমেতালে কাজ করছে তারা। যে কারণে নির্বাচন কমিশন নিল কড়া পদক্ষেপ।
এদিকে কাজের চাপ, টেকনিক্যাল সমস্যা সহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে বিএলও-দের পক্ষ থেকে। কর্ম বিলি ও সেগুলো জমা নেওয়ার পর ডিজিটাইজেশন যদি তারা করে তাহলে কাজে দেরি হবে বলে জানিয়েছেন বিএলও-র একাংশ।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৯৯.৭ শতাংশ এনিউমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে। জমা নেওয়া ফর্মের ২৫.৫ শতাংশ ডিজিটাইজড হয়েছে। এরই মাঝে কাজে গাফিলতির কারণে কলকাতায় শোকজ নোটিস পেল ৭ জন BLO। বেলেঘাটা বিধানসভা এলাকায় কর্মরত এই সাত জন। আজ কমিশনকে উত্তর দেবেন তারা। উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে কড়া পদক্ষেপ নেবে কমিশন।
এদিকে আবার বিএলও-দের কাজ সহজ করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। যে অ্যাপে কাজ হচ্ছে তাতে আছে বিশেষ সুবিধা। কোনও তথ্য ডিজিটাইজেশন করার সময় ভুল হলে তা পরে সংশোধন করা যাবে বলে জানা গিয়েছে।


