সংক্ষিপ্ত
আরজি কর কাণ্ডে আজ সাজা ঘোষণা। শিয়ালদহ আদালত যেন দুর্গে পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে আদালত চত্বর। প্রায় ৫০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন হয়েছে। রয়েছেন দুজন ডিসি পদমর্যাদা আধিকারিকরা, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রয়ছে ৫জন, ইন্সপেক্টর ১৪ জন, এসআই পদমর্যতার আধিকারিকরা রয়েছে ৩১ জন, এএসআই পদমর্যতার আধিকারিকরা আচে ৩৯ জন, কনস্টেবল রয়েছেন ২৯৯ এবং মহিলা পুলিশ আছেন ৮০ জন।
এদিকে শেষ দিন আদালতে ফের নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেন সঞ্জয়। তিনি বলেছিলেন, আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। আমি যদি ধর্ষণ করি, তাহলে সেটা ছিঁড়ে গেল না কেন?
এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন সঞ্জয়ের দিদি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি ওই রুদ্রাক্ষের মালার বিষয় কিছু জানেন না। ওই বিষয় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয় আমার কিছু জানা নেই। আমার সঙ্গে সে রকম পরিচয় ছিল না। তাই আমি কিছু বলতে পারব না।
অনেকেই দাবি করছেন সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড হোক। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কিছু বলার নেই। সরকার বা প্রশাসন যা ঠিক মন করছে, তাই করে। আমার চাওয়া বা না চাওয়ার মধ্যে তো কিছু নেই। সঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর মায়ের তো মানসিক স্থিতি ঠিক নেই। মাকে তো সে রকম কিছু বলা যায় না।
এক সংবাদমাধ্যমে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কি তাঁরা উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হবেন কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, নাহ। গত অগস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আইনি সাহায্য তিনি ভাইকে দেননি। এখনও তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ। এত দিন দেখাও করেননি। আগামী দিনেও দেখা করতে চান না। আদালত দোষী সাব্যস্ত করার সময় সঞ্জয় শনিবার বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর গলায় রুদ্রাক্ষ মালা আছে। তিনি কোনও অন্যায় করলে তা খসে যেত।