শোভন -রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ মামলাটি চলছে আলিপুর আদালতে। হঠাৎই সেই মামলা চলে এসেছে কলকাতা হাইকোর্টে।
শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় (divorce case) এবার দুলাল দাসকেই চড়া সুরে আক্রমণ করলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Kalyan Banerjee)। কলকাতা হাইকোর্টে ( Calcutta High Court) চলছে এই মামলার শুনানি। শোভনের হয়ে সওয়াল করছেন কল্যাণ। তিনি শুনানির সময় রত্না ও তাঁর পরিবারকে রীতিমত ধুয়ে দেন। তিনি দুলাল দাসকে 'কালারফুল' বলেও কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি কেন শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ মামলা ৮ বছর ধরে চলছে তারও ব্যাখ্যা দেন।
শোভন -রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ মামলাটি চলছে আলিপুর আদালতে। হঠাৎই সেই মামলা চলে এসেছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই বুধবার আচমকাই শোভনের হয়ে সওয়াল করতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। এদিনও সেই মামলায় শোভনের হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে চলছে শোভন-রত্নার ডিভোর্স মামলা। রত্না-শোভন-বৈশাখী রাজ্যের চর্চিত সম্পর্কগুলির মধ্যে একটি। সেই মামলার শুনানিতেই কল্যাণ রত্না ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'দুলাল চন্দ্র দাস বিধানসভায় আসতে পারছেন, অথচ বয়সের যুক্তি দেখিয়ে আলিপুর কোর্টে যেতে পারছেন না। তিনি একটি পুরসভার চেয়ারম্যান, সেখানকার কাজ রোজ সামলাচ্ছেন। কিন্তু বয়সের যুক্তিতে আদালতে যেতে পারছেন না!তিনি বজবজে নির্বাচনের দ্বায়িতে ছিলেন, সেটা পালন করেছেন, অথচ বয়সের যুক্তিতে আদালতে যেতে পারছেন না!আলিপুর আদালতে যে ভষায় কথা বলেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায় তা প্রকাশ্যে মুখে আনা যায় না। আদালত কি মামাবাড়ি নাকি? যখন যা ইচ্ছা হল করব?' এই সওয়াল জবাবের সময়ই কল্যাণ দুলালকে 'কালারফুল' বলে সম্বোধন করেন।
কল্যাণ একহাত নেন রত্নাকেও। তিনি বলেন, 'আলিপুর আদালতে যে ভষায় কথা বলেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায় তা প্রকাশ্যে মুখে আনা যায় না। আদালত কি মামাবাড়ি নাকি? যখন যা ইচ্ছা হল করব?' রত্নার উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন,'আমি এখন সম্মানজনক , সুষ্ঠু জীবন চাই। আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে। ৮ বছর ধরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে! এই জাতীয় মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়। কিন্তু এই মামলা আট বছর চলছে। কারণ রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ডিভোর্স দেব না!'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
