সংক্ষিপ্ত

দুর্ঘটনায় শুভদীপের ডাক দিকের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গুরুতর ক্ষতি হয়েছিল। ডান পা, ডান চোখ, ডান ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শত চেষ্টা করেও ভর্তি করা যায়নি এসএসকেএম-এ। শুভদীপ পালকে হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় শুভদীপকে। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হল শুভদীপের। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই যুবকের জন্য একটি আলাদা মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই মেডিক্যাল বোর্ড। তবে দুর্ঘটনায় শুভদীপের ডাক দিকের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গুরুতর ক্ষতি হয়েছিল। ডান পা, ডান চোখ, ডান ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসকদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো গেল না শুভদীপকে।

শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন শুভদীপ পাল। তাঁকে পাতালে ভর্তি করতে গেলে মদন মিত্রকে ফিরিয়ে দয়ে কর্তৃপক্ষ। ভর্তি নিতে রাজি হয়নি বলেও অভিযোগ। তারপর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন হাসপাতালে দালাল রাজ চলছে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেরও দাবি করেন। বিধায়ক অভিযোগ করেছিলেন যে হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাকে অপমান করা হয়েছিল, যখন তিনি শুক্রবার রাতে সেখানে গিয়েছিলেন যখন জানানো হয়েছিল যে একজন গুরুতর আহত রোগী তার ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি হতে পারবেন না। তিনি প্রয়োজনে আহতের চিকিৎসার জন্য ঘড়ি আংটি দিয়ে দেবেন। কিন্ত এত কিছুর পরেও মদন এই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারেননি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী দু'দিন দলের সঙ্গে ব্যপক চাপানুতর চলে মদনের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে মদন মিত্রের নামে অভিযোগও দায়ের করা হয় ভবানীপুর থানায়। এই ঘটনার পরই শনিবার সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলেন মদন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তথা রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেছিলেন,'মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করা যাবে না। আমি ওঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। যিনি আহত হয়েছেন তিনিও স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁর পাশে দাঁড়াতেই আমি এসএসকেএমে গিয়েছিলাম। এটা আমার অপরাধ হয়ে থাকলে আমায় তাড়িয়ে দিন, চলে যাব। যা বলববেন মেনে নেব।' এখানেই শেষ নয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের কেন সাসপেন্ড করা হবেনা সেই নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় সরব হন মদন। এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টার কারোর একচ্ছত্র নয় বলেও দাবি করেন তিনি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মদনের দাবি পিজি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টার সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি। রোগীকে ভর্তি না নেওয়া গেলেও সেখানে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া উচিত। ২৪ ঘণ্টা ট্রমা কেয়ার সেন্টার খোলা থাকার পরেও রোগীকে দেখা হল না কেন? তিনি বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফোন ধরেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও জানান, যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অরূপ বিশ্বাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার মেসেজ করে বলেন, রোগীকে দেখা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁকে ভর্তি করানোর ক্ষমতা নেই।