সংক্ষিপ্ত
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা। খারিজ হয়ে গেল প্রাথমিকে ডিএলএড মামলার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা। খারিজ হয়ে গেল প্রাথমিকে ডিএলএড মামলার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিলো দেশের শীর্ষ আদালত।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চের রায় খারিজ করার কথা। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে বলেও জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল আদালত।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১১,৭৫৮ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল যে, যাঁরা সেই শিক্ষাবর্ষে ডিএলএডের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেন (Justice Abhijeet Ganguly)।
সেই সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল যে, ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষের প্রার্থীদের ডিএলএড কোর্স শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের জুন মাসে। তাঁদের কোর্স শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ। অর্থাৎ ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্ষদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগেই ওই শিক্ষাবর্ষের প্রার্থীদের চূড়ান্ত সেমিস্টার শেষ হয়ে যাবে। তাই ওই শিক্ষাবর্ষের প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার অধিকার আছে।
এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশের পাশাপাশি পর্ষদের জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও খারিজ করে দেয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদের (এনসিটিই) নিয়ম অনুযায়ী, একজন শিক্ষক হতে গেলে ন্যূনতম শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে এনসিটিই-এর নিয়ম মানা হচ্ছে না। কারণ ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে ওই শিক্ষাবর্ষের প্রার্থীদের কোর্স শেষ হলেও ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁরা শংসাপত্র হাতে পাবেন না। ওই বছরের নভেম্বর মাসে তাঁরা শংসাপত্র হাতে পাবেন। ফলে সার্টিফিকেট ছাড়া তাঁদের যোগ্য বলে বিবেচনা করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা চলাকালীন পর্ষদ নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, নিয়োগে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণরতদের সুযোগ দেওয়া হবে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই সময়ের শিক্ষাবর্ষের DLED প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের একাংশ। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিলো সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।