সংক্ষিপ্ত

আরজিকর কাণ্ডে গ্রেফতার ১, ধৃতের নাম সঞ্জয় রায়, তরুণীর দেহের পাশে পড়ে থাকা ছেঁড়া হেডফোন থেকেই দানা বাঁধল সন্দেহ

আরজিকর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই আটক করা হয় তাকে। ধৃতের নাম সঞ্জয় রায় বলে জানা গিয়েছে। সেমিনার হলের দায়িত্বে থাকা চুক্তি ভিত্তিক কর্মী সঞ্জয়। রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তরুণীর দেহ পাশে একটি ছেঁড়া হেডফোন পাওয়া যায় সেই হেডফোন কোন ফোনের সঙ্গে কানেক্ট ছিল সেই সূত্র ধরেই ধরা হয়েছে ধৃতকে।

প্রথামিক তদন্তে তরুণীর দেহে প্রচুর ক্ষত চিহ্ন পেয়েছিল পুলিশ। যৌনাঙ্গেও ছিল ক্ষত। চোখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। তরুণীর দেহে নিচের অংশে কোনও কাপড় ছিল না, তাই তরুণীকে আত্মঘাতী সেই দাবি মেনে নেয়নি তাঁর পরিবার। 

তরুণীর বাবা-মা অভিযোগ করেছেন প্রথমে তরুণীর মৃতদেহ দেখতেই দেওয়া হয়নি । হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। অন্যদিকে মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীও জানিয়েছেন যে এটা খুন। এটা অত্যন্ত সাসপিসিয়াস সারকামটেন্সেস মনে হয়েছে।"

এ প্রসঙ্গে ফরেনসিক টিম জানিয়েছেন, ঠোঁটে, গালে, গলায় মার্ক রয়েছে। দেহ চিৎ অবস্থায় শোয়ানো ছিল। "আমরা যখন গিয়েছিলাম , দেহ পুরো ঢাকা অবস্থায় ছিল। এটা বাইরের কেউ নয়, চেনা লোকেরই কাজ, কারণ দেহ সেমিনার হলে ছিল। ওয়ার্ড অনেকটাই দূরে। সেমিনার হলে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারে না।"

প্রাথমিক ভাবে খুন বলেই অনুমান করছে পুলিশ। ছাত্রীর শরীরের উপরের অংশে কাপড় ছিল কিন্তু নিচের অংশে কাপড় ছিল না। বৃহস্পতিবার নাইট ডিউটি ছিল তরুণীর। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ নাগাদ সেমিনার রুম থেকে তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।