এই অভিযানে স্থানীয় থানার সহায়তায় একসঙ্গে কাজ করেন ডিডি'র অ্যান্টি-ফ্রড সেকশনের ইনস্পেক্টর এস সাহা। তল্লাশির সময় ওই বাড়ি থেকে ছয়টি ল্যাপটপ, আঠারোটি মোবাইল ফোন, দুইটি রাউটার এবং বেশ কিছু আপত্তিকর নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
Kolkata News: শহরের কড়েয়া থানার চামরু খাঁসামা লেনের একটি বহুতলের চতুর্থ তলায় একটি অবৈধ কল সেন্টারে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানার তরফে চালানো হয় অভিযান। ১৭ জুলাই ভোররাতে আনুমানিক ৩:৪০ নাগাদ গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়, যেখানে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই অভিযানে স্থানীয় থানার সহায়তায় একসঙ্গে কাজ করেন ডিডি'র অ্যান্টি-ফ্রড সেকশনের ইনস্পেক্টর এস সাহা। তল্লাশির সময় ওই বাড়ি থেকে ছয়টি ল্যাপটপ, আঠারোটি মোবাইল ফোন, দুইটি রাউটার এবং বেশ কিছু আপত্তিকর নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাঁরা অবৈধভাবে প্রতারণামূলক কাজের জন্য একটি কল সেন্টার চালাচ্ছিলেন।
উদ্ধারকৃত সমস্ত জিনিস পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং ঘটনার তদন্তের স্বার্থে ঘরটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাঁদের গ্রেফতারের কারণ জানানো হয়। পরে তাঁদের লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় সাইবার থানায় ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬/৬৬সি/৬৬ডি/৮৪বি/৪৩ ধারার পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির (BNS, ২০২৩) ৬১(২)/৩১৯(২)/৩১৮(৪)/৩৩৬(২)/৩৩৬(৩)/৩৩৮/৩৪০(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন:
১) আরবাজ আলি খান (২৭)
২) মোঃ আয়ান (২৫)
৩) মোঃ জাফর খান (৩২)
৪) রহমত হুসেন (২৪)
৫) মোঃ সারফরাজ (৩০)
৬) মোঃ শাহনওয়াজ (২৮)
৭) আসিফ আলি (২৯)
৮) আরশাদ আলি (২৮)
৯) মোঃ জুবায়ের (২৯)
১০) শেখ সামীর (২৫)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করে আর্থিক ক্ষতি ঘটিয়ে চলছিল। পুরো ঘটনার তদন্তে আরও তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, ডায়মন্ডহারবার পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের অধীন উস্তি থানার শংকরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে cs indian bank এর 60000 taka ছিনতাই হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই টাকা উদ্ধারে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের নজরে আসে তিন কুখ্যাত দুষ্কৃতী।
এসওজিও উস্তি থানার পুলিশের তদন্তকারী টিমের সন্দেহ ঢোলা থানার একটি cs ইন্ডিয়ান ব্যাংকেরও কিছু টাকা ডাকাতির সঙ্গে এরা জড়িত থাকতে পারে। এরপর অস্থি থানার পুলিশ ওই তিন দুষ্কৃতীদের মোবাইল ট্রাক করে জানতে পারেন তারা উড়িষ্যার কোরাপুর লুকিয়ে আছে।
সেখান থেকে ওই তিন কুখ্যাত দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে যে রায় জানতে পারেন সোনারপুর থানার একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হওয়া কিছু সোনার অলংকার সহ প্রচুর সোনা, কিছু টাকা মন্দিরবাজার ও উস্তি থানার বর্ডার এলাকার একটি বাড়িতে একটি বাড়িতে লুকানো আছে। পুলিশ তাদেরকে নিয়ে ননস্টপ অন ক্যামেরায় সেগুলো উদ্ধার করেন। নগদ ৪০ হাজার টাকা ও শুধু সোনার পরিমাণ প্রায় ৪৫০ গ্রামের মতো সোনা যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৫ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


