সংক্ষিপ্ত

প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজো (Durga Puja) এলেই উদ্যোক্তাদের ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। পুজো করতে গেলে দরকার হয় নানান রকম অনুমতি। এবার সেই দৌড়োদৌড়ি বন্ধ হতে চলেছে।

চলতি বছরের পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। অনুদান ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্যোক্তারাও আইনি কার্যকলাপ শুরু করে দিয়েছেন। এর মাঝে এবার পুজোর (Durga Puja) ছাড়পত্র নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা।

প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজো (Durga Puja) এলেই উদ্যোক্তাদের ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। পুজো করতে গেলে দরকার হয় নানান রকম অনুমতি। এবার সেই দৌড়োদৌড়ি বন্ধ হতে চলেছে। কারণ মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেককে ওই ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র জমা করতে হবে। নথিপত্রও ওখানেই জমা করতে হবে। এরপর আবেদনপত্র দেখে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিদ্যুৎ, দমকলের অনুমোদন দেবে।

সোমবার মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা (BP Gopalika) জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর পুজোর ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসন পুজো সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলেছেন। সেটাকেই মডেল হিসেবে তুলে ধরার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, চলতি বছর দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে ৮৫,০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবারের থেকে এবার ১৫,০০০ টাকা বেশি দেওয়া হচ্ছে। যদিও আরজি কর কাণ্ডের আবহে বাংলার বহু পুজো কমিটির তরফ থেকে রাজ্য সরকারের এই অনুদান ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিপি গোপালিকা জানান, ব্যারাকপুর এবং বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এমন ওয়েবসাইট (Website) বানিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার বাকি জেলার জেলাশাসকদেরও এমনটা করে নিজ নিজ জেলার পুজো উদ্যোক্তাদের ছাড়পত্র প্রদান করতে হবে। জেলার সমস্ত পুজোর তথ্য যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে জেলাশাসকের ওয়েবসাইটে থাকে, সেই কারণেই এই নতুন নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।