সংক্ষিপ্ত

আরজি করের নির্যাতিতার বিচার, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত, নিরাপত্তার ব্যবস্থা-সহ ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন আন্দোলন শুরু করেছে।

 

ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিলেন রাজ্যের সিনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার থেকে প্রতীকী অনশনে বসেছেন প্রায় ১০ জন সিনিয়র ডাক্তার। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি যাতে সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয় তারও আর্জি জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিনে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন শুরুর পরে কেটে গেছে ৩৮ ঘণ্টারও বেশি সময়। আজ অনশন আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন। কিন্তু এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

আরজি করের নির্যাতিতার বিচার, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত, নিরাপত্তার ব্যবস্থা-সহ ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন আন্দোলন শুরু করেছে। ধর্মতলায় পুলিশের অনুমতি না পেয়েই মঞ্চ তৈরি করে অনশন চালাচ্ছেন। যদিও পাশে পেয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষদের। সোমবার অনশন আন্দোলনের তৃতীয় দিন। শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে শুরু করেছেন অনশন। প্রথমে ৬ জন জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন আন্দোলন শুরু করলেও পরবর্তীকালে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার ও আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাত অনশনে যোগ দেন। বর্তমানে ৭ জন জুনয়র ডাক্তার অনশন চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে করবিবার ব্যক্তিগতভাবে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের তিন জন সিনিয়র ডাক্তাররা। দু’জন ছিলেন সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার এবং এক জন ছিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের। নাগরিক মঞ্চের এক প্রতিনিধিও রবিবার ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে যোগ দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে সোমবার সকালে ধর্মতলার ধর্না মঞ্চে আরও বেশি সংখ্যাক সিনিয়র ডাক্তারের যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে। যেসাত জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন আন্দোলন করেছেন তাঁরা হলেন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পিডিটি অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা এবং ক্যানসার বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট স্নিগ্ধা হাজরা বসেছেন অনশনে। এ ছাড়াও রয়েছেন এসএসকেএমের পিডিটি অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্য, কেপিসি হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং আরজি করের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের পিজিটি তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া অনিকেত মাহাতো।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।