সংক্ষিপ্ত
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বৃহস্পতিবার একধাক্কায় চাকরি চলে গিয়েছে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের। এত সংখ্যক চাকরি বাতিলে বড় ধাক্কা রাজ্যের কাছে। বিষয়টি নিয়ে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বৃহস্পতিবার একধাক্কায় চাকরি চলে গিয়েছে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের। এত সংখ্যক চাকরি বাতিলে বড় ধাক্কা রাজ্যের কাছে। বিষয়টি নিয়ে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মানবিক ভাবে চাকরি হারাদের পাশে রয়েছেন। তিনমাসের মধ্যে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
এই আবহে তড়িঘড়ি ফের বৈঠকে বসেন রাজ্যের তিন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও আরেক মন্ত্রী। এদিকে এখনও জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাহলে কী করতে তড়িঘড়ি এই মিটিং ডাকা হল তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একসঙ্গে এত সংখ্যক চাকরি বাতিল নিঃসন্দেহে ছাব্বিশের ভোটের আগে রাজ্য সরকারের কাছে একটা বড় ধাক্কা। এই অবস্থায় চাকরি বাতিল ইস্যুতে আগামী দিনে কীভাবে এগোবে তৃণমূল তা ঠিক করতেই এই বৈঠক বলে মনে কর হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চাকরি হারানো শিক্ষকদের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ এপ্রিল নেতাজি ইনডোরে চাকরি হারানো শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কথা শুনবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, "যাঁরা ন্যায্য ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের পাশে আমরা ছিলাম, আছি এবং থাকব।"
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যাদের চাকরি গিয়েছে, তারা বিচার পাওয়ার জন্য ডিপ্রাইভড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেছেন। তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন, সবাই একত্রিত হতে চান। তাঁরা অনুরোধ করেছেন, শিক্ষামন্ত্রী-সহ আমি যদি তাঁদের সভায় উপস্থিত থাকি, তাঁরা খুশি হবেন।" তিনি আরও বলেন, "ধৈর্য্য হারাবেন না। মানসিক চাপ নেবেন না। যখন প্রক্রিয়া হবে, আদালত তো আপনাদের সকলকে আবেদন করতে বলেছে। আপনারা আবেদন করুন।"
অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য বিজেপি এবং সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "এই পরিবারগুলি অচল হয়ে গেলে বিজেপি-সিপিএমও সচল থাকবে না। কোনও ঘটনা ঘটলে, দায়িত্ব আপনাদের হবে।"